বরিশাল নগরীতে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হওয়ার পথে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ৪২০টি সিসি ক্যামেরা। বিকল হয়ে পড়েছে ৩৫০টি ক্যামেরা। তদারকি না থাকায় চুরি হয়েছে ৩০টি। আর্থিক সংকটে রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সিসি ক্যামেরা প্রকল্পের কর্মকর্তা।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০১৭ সালের এপ্রিলে বরিশাল নগরীর ৫৮টি স্থানে ৪২০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সিটি করপোরেশন। তবে দুই মাস পরই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সিসি ক্যামেরাগুলো অচল হয়ে পড়ে। তদারকি না থাকায় চুরি হয়েছে অচল সিসি ক্যামেরাও। এ জন্য সিটি করপোরেশনের উদাসীনতাইকেই দায়ী করছেন নগরবাসী।
নগরবাসীরা জানান, নগরে সিসি ক্যামেরা হলেও সেবা পাননি তারা। তাদের অভিযোগ, এই সেবা একদিনের জন্যও চালু হয়নি। কিন্তু সিসি ক্যামেরা বাবদ অনেক টাকা খরচ হয়েছে।
বিসিসির সিসি ক্যামেরা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. গোলাম ফারুক বলেন, অনেক জায়গা সিসি ক্যামেরার তারগুলো চুরি হয়েছে। কিছু জায়গায় প্রকৃতিক দুর্যোগ হওয়া ক্যামেরার কিছু সমস্যা হয়েছে। এগুলো বরাদ্দের কারণে মেইনটেইন করতে পারি নাই। ফলে ক্যামেরাগুলো আপাতত অচল আছে। যদি সামান্য বরাদ্দ এই প্রজেক্টে রাখা যায় তাহলে ওগুলো সচল করা সম্ভব।
এদিকে নগরীতে আরও ৩০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ।
বিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনের ক্যামেরাগুলোকে আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য আমি এরই মধ্যে তাদের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এটি যদি হয় তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে। কিছু সম্ভবত সংযুক্ত করেছে। সবগুলো করতে পারেনি।