নাদের চৌধুরী,ফেনী জেলা প্রতিনিধি: ২০০২ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি জোট সরকারের প্রশাসনের হাতে রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল মালিবাগ বায়তুল আজিম জামে মসজিদ। মসজিদকে অবৈধভাবে মার্কেটে রুপান্তরিত করার প্রতিবাদে জড়ো হওয়া জনতার ওপর অতর্কিত গুলি চালিয়ে মুহুর্তেই চারটি তাজা প্রাণ শহীদ করে এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি চালিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক বিক্ষুব্ধ তাওহীদী জনতাকে রক্তে রঞ্জিত করেছিল। কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় হলো যে,সেই মর্মান্তিক ও ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য ন্যূনতম অনুশোচনাও করেনি বিএনপি জোট সরকার। আহত ও নিহত শহীদ পরিবারগুলো এখনো পায়নি কোন সুবিচার। বাংলাদেশের মত একটি মুসলিম রাষ্ট্রে মসজিদ রক্ষার আন্দোলনে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এখনো না হওয়া খুবই হতাশার। আমরা খুনি ও হুকুম দাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
আজ ১৫ আগস্ট’২২ সোমবার বাদ আসর জেলা কার্যালয়ে প্রাঙ্গণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা শাখা আয়োজিত “মালিবাগ মসজিদ রক্ষার আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী শহীদদের জীবন কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এই দাবী জানান সংগঠনের জেলা সভাপতি এইচ এম. নুরুজ্জামান।
সভাপতি তার বক্তব্যে আরো বলেন, সেই মর্মান্তিক ঘটনায় জালিমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশের কর্মী, মালিবাগ জামিয়ার ছাত্র শহীদ হাফেজ আবুল বাশার, সদস্য ও চৌধুরী পাড়া মাদরাসার ছাত্র শহীদ রেজাউল করীম ঢালী, শহীদ ইয়াহইয়া ও শহীদ জয়নাল আবেদীন জালিমের নিষ্ঠুর ও নির্মম আঘাতে শাহাদত বরণ করে। ঘটনার পরদিন ঢাকার মুক্তাঙ্গনে ইশা ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত গণজমায়েতে পীর সাহেব চরমোনাই রহ. জোট সরকারের কাছে খুনী তৌফিক ও ছাত্রদল নেতা হানিফসহ খুনিদের গ্রেপ্তার করে অবিলম্বে বিচার, ঘটনার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা, সরকারী খাস জমিতে অবস্থিত মসজিদ গুলোকে সংশ্লিষ্ট মসজিদের নামে ওয়াকফকরণ এবং শহীদ পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ চার দফা দাবি পেশ করলেও কোন দাবিই আমলে নেয়নি বিএনপি জোট সরকার; এমনকি তাদের মাঝে ন্যুনতম অপরাধবোধও সৃষ্টি হয়নি।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা সভাপতি এইচ এম. নুরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ ফোরকান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন , ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, অর্থ ও কল্যান সম্পাদক নাদের চৌধুরী , বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এমরান হোসেন, আলিয়া মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক কাজী ওমর ফারুক, স্কুল ও কলেজ সম্পাদক- মীর হোসাইন হৃদয়, সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য আবু সাঈদ আশিক সহ শুরা ও বিভিন্ন থানা দায়িত্বশীলবৃন্দ।