টাঙ্গাইলের সখীপুরে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার দুপুরে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) ফারজানা আলম এ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় জামালহাটকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদিনকে(৫২) এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অভিযোগকারীদের দাবি, ছাত্রীদের উত্যক্ত করার
বিষয়ে ওই শিক্ষককে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও তিনি নিজেকে সংশোধন করেননি। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইউএনও সোমবার সকালে ওই বিদ্যালয়ে যান। পরে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে আটক করে ইউএনও কার্যালয়ে এনে সেখানে আদালত বসানো হয়। আদালতে ওই শিক্ষক দোষ স্বীকার করলে বিচারক তাকে এক মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ইউএনও ফারজান আলম বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় এ সাজা দেয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে ব্যতিক্রম মন্তব্য করছেন স্থানীয়দের কেউ কেউ। তারা বলছেন, অভিযুক্ত শিক্ষক অত্যন্ত সৎ এবং শিক্ষার্থী বান্ধব। ইতোপূর্বে তার মত শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে আর আসেননি। তিনি শিক্ষার্থীদের অনেক খোঁজখবর রাখতেন। কোনো কারণে কেউ ক্লাসে না এলে তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিতেন। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত অনেক শিক্ষার্থীকে তিনি নিজে এনে স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন।
তারা আরো বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে যেমন জনপ্রিয়। তেমন জনপ্রিয় অভিভাবকদের কাছেও। তিনি এমন জঘন্য কাজ একদমই করতে পারেন না।
তারা বলেন, মূলত ওই বিদ্যালয়ের কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ওই শিক্ষকের টাকাপয়সা নিয়ে ঝামেলা তৈরি হওয়ায় তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।
সখীপুর থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়া ওই প্রধান শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।