ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাত ২টার দিকে গোলপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলার শিকার আহতরা হলেন— ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম মহব্বত, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. শরীফ হোসেন, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক বিজয় সরকার, বানিয়াজান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অন্তর হাসান, যদুনাথপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক মামুন খান।
এছাড়াও বলিভদ্র ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ আজিজুর রহমানের ছেলে মির্জা হাবিব হাসান, মুশুদ্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি স্বাধীন, বীরতারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহান হাসান ও মাইক্রোবাসের চালকসহ কমপক্ষে ১৩ জন আহত হন।
জানা গেছে, ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতকর্মীরা নয়াপল্টনে দলীয় সমাবেশে যোগদানের জন্যে মঙ্গলবার রাতে একটি মাইক্রোবাসযোগে রওনা হয়। রাত আনুমানিক ২টার দিকে মাইক্রোবাসটি গোপালপুর উপজেলার শিমলা বাজারের কাছে পৌঁছলে দেশীও অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতকারীরা।
এ ঘটনায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও লাঠির আঘাতে ১২ জনকেই আহত করা হয়। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ধনবাড়ীউপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্ককাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাদেরকে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজুর রহমান বলেন, বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গোপালপুর শিমলা বাজারে পৌঁছলে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা মাইক্রোবাস থামিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মাইক্রোবাসের ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্ককাজনক।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তরে কারা কি কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া কারো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।