সংবিধানের দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার আরও একটি প্রহসনের নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুসন্ধানী দল ঢাকায় এসেছে, তারাও চাচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালের নিশিরাতের নির্বাচন, ২০২২ সালে সাত ধাপে ইউপি নির্বাচনে ১০১ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাই আগামী নির্বাচন ঘিরে দেশকে সংঘাতময় পরিস্থিতি থেকে রক্ষার জন্য নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেই হবে।’
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সদ্য সমাপ্ত ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে মেয়রদের শপথ অনুষ্ঠানে ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, মানুষ ভোট দিতে পারে’ প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদও জানান তিনি। মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাস্তবতা বিবর্জিত বক্তব্য দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী রক্তাক্ত হয়েছেন। তিনি কি ইন্তেকাল করেছেন, বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি। পরে এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশও করেছেন। এছাড়া নির্বাচনে ভোটারদের হুমকি-ধমকি, নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা- এগুলো কি সুষ্ঠু ভোট?’