দেশে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্দ্ধগতির মধ্যে গরীব মানুষের কথা চিন্তা না করে বরাবরের মতো ব্যবসায়ীদেরকে লাভবান করতে সরকার চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।
ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে আজ রোববার সংগঠনের সভাপতি বলেন, বিগত ২০১৩ সালের পর থেকে সরকার চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে গরীবের হক নষ্ট করছে। সর্বক্ষেত্রে উর্দ্ধগতির মধ্যে চামড়ার মূল্য নির্ধারণে নিন্মগতি রহস্য জনক।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, শুধু চামড়ার মূল্য নির্ধারণে নয় সকল ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদেরকে লাভবান করতে সরকার পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে তা আজকের আবারো প্রমানিত হয়েছে।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় মূল্য নির্ধারণ করে গরীবের রক্তশোষণ করছে। আর কোরবানির চামড়া যার বিক্রয় করা অর্থ অসহায় গরীব, এতিম ও মাদরাসা পায় সেই কোরবানির চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি পায় না। এগুলো দুঃখজনক ছাড়া আর কিছুই না। শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, সরকারের এ দ্বিমুখী নীতি আগামী নির্বাচনে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আমরা দাবি জানাচ্ছি কোরবানির গরুর চামড়া বর্গফুট গরু ১২০ ও খাসি ৭০ টাকা পূর্ণঃ নির্ধারণ করতে হবে।