৬জুন মঙ্গলবার বেলা সাড়ে চারটায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইয়াছিন আরাফাতের সভাপতিত্বে ও খাইরুল আহসান মারজানের সঞ্চালনায় “ক্যাম্পাসে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে স্বাধীনভাবে হিজাব পরিধানের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে নারী শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে “মানববন্ধন” আয়োজন করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মদ আল-আমীন বলেন, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শনাক্তকরণে চেহারা প্রদর্শনে বাধ্যকরণের প্রক্রিয়া একটি সনাতন ও অকেজো পদ্ধতি। এই সিদ্ধান্ত সংবিধান ও মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের এমন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় এমন আদিকালীন পদ্ধতির ওপর নির্ভরতা আমাদের হতবাক ও বিস্মিত করেছে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সত্যিই লজ্জার৷ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত করে শিক্ষার্থীদের অধিকার চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে বলেও প্রধান অতিথি মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ধর্ম পালন ও পোষাক পরার স্বাধীনতা একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার। প্রতিটি শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার রক্ষা করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যতম দায়িত্বও। সাংবিধানিক অধিকার কোনো প্রশাসনই ক্ষুণ্ণ করার এখতিয়ার রাখেনা। এমন ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্তের দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত নারী শিক্ষার্থীদের পূর্বের ৫ দফা দাবি মেনে নিয়ে নারী শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার নগ্ন হস্তক্ষেপ না করার জোর দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের হিজাব বিরোধী নোটিশ বাতিল করার দাবি জানান।
উক্ত প্রোগ্রামে হিজাব আন্দোলনে নারী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করার সাথে সাথে ৬ দফা দাবীও উত্থাপন করা হয়।
দাবিগুলো হলো:
১. বাংলা বিভাগের নোটিশ বাতিল করতে হবে।
২, ড্রেসকোডের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব নিকাবকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদেরকে হয়রানী বন্ধ করতে হবে।
৩. প্রয়োজন হলে হিজাব নিকাব পরিহিতাদের নারী শিক্ষক, নারী স্টাফ, অথবা নারী শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অথবা বায়োমেট্রিক্স বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে শনাক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. কেউ যদি অসৌজন্যমূলক আচরণ বা হয়রানি করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬. স্মার্ট ক্লাস রুম ও পরিক্ষার হলের ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলো সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দীক, প্রশিক্ষন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, অর্থ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত, কার্যনির্বাহী সদস্য ইমরান হোসাইন সহ হল ও ফ্যাকাল্টি নেতৃবৃন্দ।