আল আমিন, ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলায় রাতে আঁধারে যুবলীগ নেতাকে বাজার থেকে ডেকে নিয়ে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা মো. সিরাজ (৪০) বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
তিনি লালমোহন পৌরসভা ১১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সদস্য। তার বাড়ি ওই ওয়ার্ডের বালুরচর এলাকায়। শনিবার (০১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিন্টু মিয়ার খামার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত যুবলীগ নেতা মো. সিরাজের স্ত্রী জান্নাত বেগম জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ বাজারের চায়ের দোকান থেকে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেহেরের কথা বলে পৌর যুবলীগের সাধারণ সমপাদক আমিরুল ইসলাম, ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সিরাজ দালাল, মাসুম, সাদ্দাম, জসিম ও নুরনবীসহ ৩০-৪০জন মিলে তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে ওই এলাকায় নিয়ে রড ও হাতুড়ি দিয়ে তার হাত, পা ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন যায়গায় বেদম মারধর করে। এতে তার দুই পায়ের হাটু ও বাম হাতের কব্জি ভেঙে যায়। এবং মাথা ফেটে যায়। পরে তাকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা। পরে তারাবি নামাজ শেষে পরিবারের লোকজন তাকে খুজতে বের হলে তাকে হাসপাতালের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায পড়ে থাকতে দেখে। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে পরে ভোলা সদর হাতপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত সিরাজের চাচাতো ভাই মো. খোকন জানান, ছোট বেলা থেকেই সিরাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছে।
ভোলা-৩(লালমোহন-তজুমদ্দি) আসনের আওয়ামী লীগের
সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ও বিবিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের ভাগিনা হয় যুবলীগ নেতা মো. সিরাজ। গত দুই মাস আগে আবু নোমান হাওলাদারের চাচা মারা গেলে সিরাজ সেখানে জানাযায় অংশগ্রহন করেন। আর এ থেকেই তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে হামলাকারীরা। এ কারনেই তাকে মারধর করে হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে।
এ ব্যাপাারে অভিযুক্ত লালমোহন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মেহেরাব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সিরাজ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় তাঁর নামের একাধিক মামলা আছে। গত রাতের মারধরের বিষয়নে তিনি কিছুই জানেন না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে এ সকল মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, প্রতিদিন পারিবারিকভাবে নিজেদের মধ্যে মারামরির অনেক ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়টি তার জানা নেই।
এস.আই/