দেরিতে হলেও মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের অভূতপূর্ব এক উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘ। গতকাল শুক্রবার (১৮ জুন) সংস্থাটির সাধারণ পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব গৃহিত হয়। সেখানে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তার প্রতি নিন্দা জানানোর পাশাপাশি দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার বিষয়টি উঠে আসে।
গৃহিত প্রস্তাবে আরও বলা হয়, অং সান সুচিসহ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সকল রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমন করতে বল প্রয়োগ কিংবা অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। জাতিসংঘের এমন প্রস্তাবের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকলেও এটিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলছেন বিশ্লেষকরা।
সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করা এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১১৯টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয়া একমাত্র দেশটি হলো বেলারুশ। এছাড়া ৩৬টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল, এদের মধ্যে আছে মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি করা চীন ও রাশিয়া। ভোটদানে বিরত থাকার কারণ হিসেবে তারা বলছে, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’।
জাতিসংঘে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উলুফ স্কুগ বলেন, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে মূলত মিয়ানমারে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা জান্তা সরকারকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বের চোখে তারা এখন একঘরে। কারণ, এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার মধ্য দিয়ে ১১৯টি দেশের জনগণ মিয়ানমারের বর্তমান সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাসীন অং সাং সু চিকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দেশটির জনগণ বিক্ষোভ করে আসছে। নিরাপত্তা বাহিনীও বিক্ষোভ দমেন সমানে গুলি চালাচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০ বিক্ষোভকারী নিহত ও সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছেন।