বৃদ্ধা মাকে বাগানে ফেলে গেটে তালা আটকে স্ত্রী-সন্তানসহ ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছেন তারই একমাত্র ছেলে। তার আগে বাড়িসহ জায়গা -জমি সব বিক্রি করে দেন ছেলে।
সোমবার খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনির শিলেমানপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পরে বৃদ্ধার ভাই মোহাম্মদ আলী ও তার ছেলে আব্দুর রহমান খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কাশিমনগরে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান।
ওই বৃদ্ধার নাম জামিলা বিবি (৮২)। তিনি একই এলাকার মৃত লতিফ সরদারের স্ত্রী। তার একমাত্র ছেলের নাম জায়েদ (৫০)।
জামিলা বিবির ভাইয়ের ছেলে আব্দুর রহমান জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মস্তিষ্ক বিকৃত ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জামিলাকে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এজাজ শফীকে জানালে তিনি জামিলাকে নিয়ে থানায় যেতে বলেন।
এরপর থানায় থেকে ইউএনও অথবা স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য এজাহার আলীকে জানিয়ে জামিলাকে তারা নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যান।
তিনি আরো জানান, জামিলাদের দু’টি ভবনের চারটি রুমের সবগুলোই তালাবদ্ধ ছিল। জামিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় প্রতিবেশী এক নারী জায়েদ ঘরের চাবি রেখে গেছে বলে জানান। তবে জায়েদ তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কোথায় গেছেন কিংবা কবে ফিরবেন তা কাউকে জানিয়ে যাননি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, জায়েদ তার মাকে ফেলে যাবার আগে বাড়ি-ঘর সব বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে কার কাছে বিক্রি করেছেন তা জানা যায়নি।
মোবাইলে জামিলার ছেলে জায়েদের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মাকে ফেলে রেখে যাওয়ার সময় তিনি অনেক কেঁদেছেন। তবে কবে ফিরবেন কিংবা আদৌ ফিরবেন কিনা তা জানাননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধা জামিলা বিবির মস্তিষ্ক বিকৃতি আছে। তিনি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীও। ছেলে জায়েদের সাথে থাকতেন শিলেমানপুরেই। তার নাতিরা ঢাকায় বড় চাকুরী করেন। সোমবার দিনের কোন এক সময় মাকে বাড়ির বাগানে ফেলে রেখে বাগানের গেটে তালাবদ্ধ করে ঢাকায় চলে যান জায়েদ।