চুয়াডাঙ্গায় গোশত বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ওই সময় কনেপক্ষের লোকজন বেশি গোশত খাওয়া বরযাত্রীসহ বরপক্ষের তিনজনকে পিটিয়ে জখম করে। এরপরই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে বর ও কনে পক্ষ। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নববিবাহিত দম্পতির মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। গত রোববার চুয়াডাঙ্গা উপজেলার বদরগঞ্জ দশমীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এ দিকে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই সোমবার রাতে ছেলের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সোনারদাড়ি গ্রামে আবার লুকিয়ে বিয়ে করেন সবুজ ও সুমী। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন ওই দম্পতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর সবুজ আলী।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের নানা নেতিবাচক মন্তব্য করতে থাকে।
বর সবুজ বলেন, ‘রোববার বিয়ে বাড়িতে তুচ্ছ ঘটনায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে বরযাত্রী ও কনেপক্ষের লোকজন। একপর্যায়ে বরপক্ষের তিনজনকে মারধর করা হয়। পরে উভয়পক্ষ বসে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। পরে রাতেই কনে সুমী আক্তার সুমী আমাকে ফোন দেয়। একপর্যায়ে আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পারি। সোমবার সকালে গোপনে সুমি ঝিনাইদহ চলে এলে আমরা রাতে আবার বিয়ে করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আসলে ২ বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়েছে। তারপর থেকে সুমির সাথে আমার সম্পর্কটা খুব গভীর। উভয় পরিবারের ভুলে তো আমরা পৃথক হতে পারি না।’
কনের বাবা নজরুল ইসলাম জানান, ‘বিয়ের দিন বরপক্ষের লোকজন খুব খারাপ আচরণ করে আমাদের সাথে। বিয়েতে দেয়া গায়ে হলুদের উপহারও তারা ফেরত নিয়ে আসে। এছাড়া খাবার নিয়েও নানা প্রশ্ন তোলে বরপক্ষের লোকজন। একপর্যায়ে আমাদের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তারা আমার মেয়েকে তালাক দিয়ে চলে যায়। কিন্তু আমার মেয়ে আবার তাদের কাছে গোপনে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে বর সবুজ আলীর ছোট মামা ফারুক হোসেন জানান, গায়ে হলুদের উপহার ফেরত দেয়াকে কেন্দ্র করে মূলত বাকবিতণ্ডা হয় কনেপক্ষের লোকজনের সাথে। পরে তারা আমাদের মারধর করে। ঘটনার রাতেই বিচ্ছেদ হয়েছিল। তবে পরে আমার ভাগ্নে ওই মেয়েকে আবার বিয়ে করেছে।
তিনি আরো জানান, সবুজ বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। বাবা মারা যাওয়ার পর ৫ বছর আগে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সৌদি আরবে যায় সবুজ। সেখানে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়েছিল তাদের।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন পিপিএম (বার) এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।