শহিদুল ইসলাম কবির: লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি’২৩, বুধবার বাদ জোহর আমীরুল মুজাহিদিন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই’র উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে চরমোনাই বার্ষিক মাহফিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে, ইনশাআল্লাহ।
এবারের মাহফিলে আগত দেশী বিদেশী শ্রোতাদের জন্য ৩০০ একর জমিতে, ৬ টি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশ বিদেশ থেকে আগত শ্রোতাদের যাতে মাহফিল শুনতে সমস্যা না হয় সেজন্য টানানো হয়েছে সামিয়ানা, প্রয়োজনীয় লাইট, মাইক লাগানো হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে বাথরুমের।
সড়ক পথে গাড়ি রিজার্ভ করে যারা আসবেন তাদের গাড়ি পার্কিং এর জন্য নির্ধারিত যায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শ্রোতারা রিজার্ভ ও ব্যাক্তিগত গাড়ী নিয়ে মাহফিল মাঠে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন।
লঞ্চ ও ট্রলারে করে মানুষের আগমন শুরু হয়েছে ৭/৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি ও আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রিজার্ভ লঞ্চে এ শ্রোতাদের উল্লেখযোগ্য অংশ মাহফিলস্থলে উপস্থিত হবেন।
চরমোনাই বার্ষিক মাহফিল বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ইসলামী জমায়েত। নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে নেককার ও আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজকে গড়ে তুলতে ১৯২৪ সন থেকে চরমোনাই মাহফিলে মুসল্লিদের আগমন শুরু হয়।
৩ দিনের মাহফিলে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ও নায়েবে আমীরুল মুজাহিদিন মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই’র ৭ টি বয়ান শ্রোতাদেরকে দ্বীনের পথে পরিপূর্ণভাবে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। এছাড়া দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য ওলামা মাশায়েখদের বয়ান শ্রোতাদেরকে দ্বীনের পথে চলতে উৎসাহ যোগায়।
মাহফিলের ২য় দিন বেলা ১০.৩০ এ চরমোনাই মাহফিলে আগত ওলামা মাশায়েখ ও বুদ্ধিজীবীদেরকে নিয়ে ওলামা মাশায়েখ বুদ্ধিজীবী সম্মেলন, ৩য় দিন বেলা ১০.৩০ এ আগত ছাত্রদের নিয়ে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এছাড়া মঞ্চের বাইরে সুবিধাজনক স্থান ও সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সমাবেশ, শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষক সমাবেশ, যুবকদের নিয়ে যুব সমাবেশ, শ্রমজীবী মানুষের অংশগ্রহণে শ্রমিক সমাবেশ, মুয়াল্লালিমদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
মাহফিলে আগত শ্রোতাদেরকে তিন দিনে হাতে কলমে নামাজসহ জরুরী মাসআলা মাসায়েল প্রশিক্ষণ, সুরা ক্বেরাত প্রশিক্ষণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কয়েক হাজার ভাগে ভাগ করে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড এর নিয়ন্ত্রণাধীন মাদরাসাসমূহের মোয়াল্লিমদের মাধ্যমে এই হাতে কলমে প্রশিক্ষণের কাজ করা হয়।
মাহফিলে শ্রোতাদের জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য ১০০ সহ্যার অস্থায়ী হসপিটালে চিকিৎসা সেবা ও ফ্রি ঔষধ দেয়া হয়।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী,সকাল ৮-৯ টার দিকে আখেরী বয়ানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পীর সাহেব চরমোনাই মোনাজাতের মাধ্যমে ৩ দিন ব্যাপী মাহফিলের কার্যক্রম সমাপ্ত করবেন।
এন.এইচ/