পেট্রল-ডিজেলের পর প্রতিবেশী ভারতে এবার ভোজ্যতেলের দামও কমতে শুরু করেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক ভোজ্যতেলের ওপর সাধারণ শুল্ক (বেসিক ডিউটি) প্রত্যাহার করার পর বাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। খবর এনডিটিভির।
কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, উৎসবের মৌসুমে বাজারে পাম অয়েল, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের দাম ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। যদিও সরিষার দামে তেমন হেরফের আসেনি। উৎসবের মৌসুম বিবেচনায় কিছুদিন আগেই বিভিন্ন ভোজ্যতেল বিপণন সংস্থাকে দাম কমাতে অনুরোধ করেছিল কেন্দ্র। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশন (এসইএ) তেলের দাম প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা কমিয়ে দেয়।
তবে এসইএ দাম কমালেও ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের অন্যান্য একাধিক সংগঠন জানিয়ে দেয়, করের বোঝা সরিয়ে তাদের পক্ষে ভোজ্যতেলের দাম বেশি কমানো সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রণালয় একাধিক অপরিশোধিত তেলের ওপর বেসিক ডিউটি বা সাধারণ শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করে। আগে আড়াই শতাংশ হারে বেসিক ডিউটি নেওয়া হতো। মন্ত্রণালয়ের নতুন আদেশ অনুযায়ী এখন তা পুরোপুরি শূন্য।
কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব শুধাংশু পাণ্ডে বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ সময় আমরা পেরিয়ে এসেছি। ভোজ্যতেলের জোগান বৃদ্ধি, শুল্ক কমানো ও স্টক কমানোর ফলে এখন দাম অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে।’ তিনি জানান, গৃহস্থালির নিত্যপ্রয়োজনীয় তেলের দাম নিযন্ত্রণ ও উপভোক্তাদের স্বস্তি দিতে কয়েকজন আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক ছাড়া ভোজ্যতেল ও তেলের বীজের ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ১ মার্চ পর্যন্ত স্টকের সর্বোচ্চ সীমা আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সরিষার তেল নিয়ে দুশ্চিন্তা যে রয়েই গেছে, তাও স্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব।