অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিরা শনিবার (১১ ডিসেম্বর) স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির তথ্য অনুসারে, প্রথম ধাপের ভোটে ১৫৪টি স্থানীয় কাউন্সিলের আসনের জন্য প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৬ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। তবে হামাসের অস্বীকৃতির কারণে গাজা উপত্যকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। খবর আনাদোলু।
এই ব্যাপক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় রামাল্লা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে সমালোচনা করেছে হামাস। ২ সেপ্টেম্বর ইসলামী জিহাদ আন্দোলন বলেছে, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের মোকাবেলা, আমাদের জনগণ ও ভূমি এবং আমাদের ওপর তাদের আগ্রাসন বন্ধ করতে সুনির্দিষ্ট রাজনেতিক চুক্তিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত তারা নির্বাচনে সম্মত হবে না।
একই মাসে ফিলিস্তিন সরকার দুই ধাপে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি ডিক্রি জারি করে। এর মধ্যে প্রথমটি ১১ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয়টি আগামী বছরের ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছরের জুনে ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের সাথে সংঘর্ষের পর ইসলামপন্থী দল হামাসের প্রতি ফিলিস্তিনিদের সমর্থন বেড়েছে। বলা হয়, পশ্চিম তীরের আল-আমারি ফাতাহর একটি শক্ত ঘাঁটি। ধর্মনিরপেক্ষ এবং জাতীয়তাবাদী দল ফাতহ। দলটি কূটনীতির মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধানে জোর দেয়।
এর আগের মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে ১১ দিনের যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষমতা দেখায় হামাস। ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে একটি অস্ত্রাগারে বিস্ফোরণ ঘটনায় ও হামাস যোদ্ধাদের হত্যা করে। হামাস পাল্টা ইসরায়েলে চার হাজারেরও বেশি রকেট হামলা চালায়। যার ফলে ইসরায়েলের তেল আবিব এবং অন্যান্য শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সেই পারফরম্যান্স হামাস ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নতুন প্রশংসা অর্জন করেছে হামাস। দলটি শুধু গাজা শাসন করলেও জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে। সমানভাবে পশ্চিম তীরেও ছড়িয়েছে হামাসের জনপ্রিয়তা। খোদ ফাতাহও দীর্ঘদিন ধরে হামাসকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপরও ফিলিস্তিনিরা হামাসের পতাকা উড়িয়েছে, যার নজির সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যায়নি।






