মাথা ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। কমবেশি সবাই এ সমস্যায় ভোগেন। কারও কারও ক্ষেত্রে এ সমস্যা তীব্র আকারে দেখা দেয়। অনেকেই মাথাব্যথা কমাতে নিয়মিত ওষুধ খান। কেউ আবার ওষুধের পরিবর্তে মাথা ব্যথা শুরু হওয়ার পরপরই এক কাপ চা বা কফির কাপে চুমুক দেন। চা-কফি খেলে সত্যিই কি মাথা ব্যথা কমে? এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়ে’র এক প্রতিবেদনে নানা তথ্য জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার।
গুণের রাজা চা
পুষ্টিবিদ মীনাক্ষীর ভাষায়, চায়ে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান শরীরে প্রদাহ কমায়। নিয়মিত চা খেলে একাধিক ক্রনিক রোগের আশঙ্কা কমে। এমনকী এই পানীয়ের গুণে হৃৎপিণ্ডও সুস্থ থাকে। সেই সঙ্গে সুগার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কফিও গুণে ভরা
সারা পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ কফির প্রেমে পাগল। তবে শুধু স্বাদ নয়, এই পানীয়ের গুণও অনন্য। নিয়মিত কফি খেলে মস্তিষ্কের অ্যালার্টনেস অনেকটাই বাড়ে। এমনকী লিভার এবং হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। ক্যাফিন সমৃদ্ধ পানীয় পানে স্ট্রোক এবং কোলন ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি কমে।
চা-কফি খেলে কি মাথা ব্যথা আদৌ কমে?
এই প্রশ্নের উত্তরে মীনাক্ষী মজুমদার জানান, মাথা ব্যথা কমানোর কাজে চা এবং কফি খুবই কার্যকরী। বিশেষ করে মাইগ্রেন এবং স্ট্রেসজনিত মাথা ব্যথার সমস্যায় একবারে মহৌষধির মতো কাজ করে এই দুই পানীয়। এমনকী এই দুই পানীয় খেলে মন ভালো হয়ে যায়। বাড়ে মনোযোগ ক্ষমতা।
অনেকেই দিনে একধিকবার চা-কফি খান। এটা তাদের কাছে নেশার মতো। পুষ্টিবিদ মীনাক্ষির ভাষায়,অতিরিক্ত চা-কফি খেলে অনিদ্রা থেকে শুরু করে দুশ্চিন্তাসহ একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সুস্থ জীবন কাটাতে চাইলে দিনে ২ থেকে ৩ কাপের বেশি চা-কফি খাবেন না। পাশাপাশি চা-কফির মতো পানীয় খেয়ে উপকার পেতে চাইলে তাতে দুধ এবং চিনি মেশানো চলবে না। বরং সুস্থ থাকতে চাইলে লিকার চা এবং ব্ল্যাক কফির কাপে চুমুক দেওয়ার পরামর্শ দেন এই পুষ্টিবিদ।