আফগানিস্তানে জ্বালানি রপ্তানি শুরু করেছে কিরগিজস্তান। ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জ্বালানি আমদানি শেরখান বন্দরের মাধ্যমে উত্তর কুন্দুজ প্রদেশে প্রবেশ করেছে। আফগান সংবাদ সংস্থা পাজওকের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে একেআই প্রেস।
কুন্দুজ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রধান মতিন ইউসুফজাই বলেন, বহু বছর পর কিরগিজস্তান থেকে জ্বালানি আমদানি শুরু হয়েছে। শেরখান বন্দরের মাধ্যমে জ্বালানি আমদানি শুধু জ্বালানির দাম কমাতেই সাহায্য করবে না বরং বন্দরের রাজস্বেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তিনি বলছেন, ১০ বছর পর শেরখান এবং ইন শাহ আল্লাহ বন্দর দিয়ে কুন্দুজে জ্বালানি প্রবেশ করেছে। এই বন্দর থেকে জ্বালানি আমদানি বাজারে দামের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
শেরখান বন্দর হল একটি আফগান সীমান্ত শহর এবং আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তানের সীমান্তে অবস্থিত শুল্ক বন্দর। এটি তাজিকিস্তান সীমান্তের কাছে পাঞ্জ নদীর পাশে আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশে অবস্থিত।
শুল্ক বন্দরটি আফগানিস্তানের কুন্দুজ এবং কাবুলকে তাজিকিস্তানের দুশানবের সাথে সংযুক্ত করেছে। এর পুরাতন নাম ছিল কেজেল কালেহ। খরোটি নাশের বংশের খান শেরখান নাশিরের নামে এর নামকরণ করা হয়।
পাঞ্জি পয়নে ২০০৭ সালে তাজিকিস্তান-আফগানিস্তান সেতু সমাপ্ত হওয়ার পর শহরটি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এই সেতু এবং প্রতিবেশী দেশের সাথে সহজ যোগাযোগ আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রতিদিন ৪০০টি শিপিং ট্রাক শহরের মধ্য দিয়ে যায়, এক দেশ থেকে অন্য দেশে বাণিজ্য পণ্য বহন করে। এই ব্যবসা স্থানীয় অনেক দোকানের মালিককেও ধনী করেছে। চলতি বছরের জুনে শহরটি তালেবানদের দখলে আসে।