ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) এর দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১২ ফেব্রুয়ারি’২৩ রবিবার এক নবীন ছাত্রীকে র্যাগিং, রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তাঁর সহযোগীদের স্থায়ী ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ইবি শাখার নেতৃবৃন্দ।
২৮ ফেব্রুয়ারি’২৩ মঙ্গলবার ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোঃ আল আমিন ও শাখা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইসমাইল হোসেন রাহাত এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবী জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রথম টার্গেট থাকে দেশের মানসম্মত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে দেশ ও জাতির প্রয়োজনে কাজ করে যাওয়া। কিন্তু এই ইচ্ছে যেন তাদের মাটি হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে কিছু মতলববাজ ও অসাধু রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে। স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় প্রবেশ করে নৈতিকতা বিবর্জিত ও সুবিধাভোগী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অপকর্মের ফলে স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছে মেধাবী শিক্ষার্থীদের।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তাঁর সহযোগীদের কর্তৃক র্যাগিং, রাতভর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশের হুমকি দেয়া নারী শিক্ষার অন্তরায়। একই সাথে সাথে এই ঘটনা নারীর স্বাধীনতা ও অধিকার লঙ্ঘন করছে এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এমন ন্যাক্কারজনক ও অমানবিক কর্মকাণ্ড কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের দ্বারা সম্ভব হতে পারে না। আমরা ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন গঠিত কমিটি তদন্ত করেছে এবং ঘটনার সত্যতাও খুঁজে পেয়েছে। এমন অমানবিক ও পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের নামমাত্র শাস্তি না দিয়ে স্থায়ী ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে এবং শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একই সাথে র্যাগিং নামীয় এই অমানবিক রীতি নিষিদ্ধ করার দাবী জানাচ্ছি।






