জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত হয়েছে মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে। যদিও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পদক্ষেপ থেকে সরে এসেছে দেশটির সরকার। চলমান এই সহিংসতায় দখলদার ইসরায়েলের এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দাবি জানিয়ে বলেছে, তাদের ২২ বছর বয়সী ওই নাগরিক গতকাল শুক্রবার, ৭ জানুয়ারি, গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে ইসরায়েলের ওই নাগরিক কাজাখস্তানে বসবাস করে আসছিল বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হচ্ছে, কাজাখস্তানে সাম্প্রতিক এই সহিংসতায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অনেক মানুষ। এ ছাড়া বহু ঘরবাড়ি ও দোকান-পাট আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, বর্তমান রাশিয়া, থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৯০ সালের দিকে কাজাখস্তান যে সহিংসতা দেখেছিল, তারপর এই প্রথম এই ধরনের দাঙ্গার ঘটনা ঘটল দেশটিতে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তেল ও ইউরোনিয়াম উৎপাদনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হচ্ছে কাজাখস্তান। দেশটির সরকারের দাবি, সেখানে বর্তমানে যে সহিংসতা চলছে, তার পেছনে কোনো বিদেশি শক্তির ইন্ধন রয়েছে। যদিও সুনির্দিষ্ট কোনো দেশ বা গোষ্ঠীর কথা বলা হয়নি। তবে দেশটির নিরাপত্তা এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা বিনষ্ট করতেই প্রশিক্ষিত ও সঙ্ঘবদ্ধ সশস্ত্র চক্রকে ব্যবহার করে এই সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ।
কাজাখ সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, চলমান সহিংসতায় অন্তত ১৮ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কিছু সদস্য আহত হয়েছেন। অপরদিকে, বিক্ষোভকারীসহ বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে।
ইরানি সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে হস্তক্ষেপ করার ব্যাপারে দখলদার ইসরায়েলের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আজারবাইজানে সেটা দেখা গেছে।