ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, রিয়াদ মহানগরের উদ্যোগে রাজধানী মালাজ রেস্টুরেন্ট, হারা-তে হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই রহ. এর ‘জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সুধী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সৌদি আরব শাখার সভাপতি শায়খ মুফতি মিজানুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব হাফেজ বেলাল হুসাইন, মাওলানা উসমান গনি রাসেল, মাওলানা জসিম উদ্দিন ও মাওলানা ফরিদ উদ্দিন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাফেজ মাওলানা মুফতি জহিরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির আলোচনায় শায়খ মিজানুর রহমান বলেন, ধর্ম ছাড়া রাষ্ট্র চলতে পারেনা। বাংলাদেশে ইসলামী শাসনের অপরিহার্যতা রয়েছে। ইসলামী আন্দোলন সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। মরহুম পীর সাহেব মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ. সারা জীবন বাংলার জমিনে ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠার জন্য একটি টেকসই ইসলামী রাজনৈতিক শক্তির গোড়াপত্তন করে গেছেন। বর্তমান পীর সাহেব মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম এর নেতৃত্বে আমরা অনুরূপ প্রত্যাশা পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ভিন্ন দল বা ভিন্ন ধর্মের লোকজন ইসলামী আন্দোলনের প্রতিপক্ষ নয় বরং সহযোগী শক্তি হিসেবে আমরা মনে করি।
অন্যান্য আলোচকগন মরহুমের তাকওয়া নির্ভর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে হাফেজ মুফতী জহিরুল ইসলাম বলেন, মরহুম পীর সাহেব হুজুর রহ. -এর জিন্দেগী থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। তিনি সারাজীবন দ্বীনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন। প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্তে সফর করে দ্বীনের বাতি জ্বালিয়ে গেছেন আর এর ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বত্র চরমোনাইর মিশনগুলো ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
মরহুম পীর সাহেব চরমোনাই অত্যন্ত পরিশীলিত জীবন যাপন করতেন। বাতিলকে বাতিল বলতেন। হককে হক হিসেবেই মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে তা নিজ তরিকা ও দলের মাঝে ছড়িয়ে গেছেন। তিনি সময়ের মূল্য দিতেন। ঠিক সময়ে প্রোগ্রামে হাজির হতেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন আজ সম্ভাবনাময়ী ইসলামী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আভির্ভূত হয়েছে।
-এসডি তালুকদার