ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির সাগরপাড়া এলাকায় মেয়েকে জোর করে বিয়ে করেছেন অভিযোগ তুলে নতুন জামাইকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে লোকজন জড়ো করে গণপিটুনি দিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় নতুন বর।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বলে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, তরুণ-তরুণীর ‘বিয়ে’ মেনে নেয়নি পরিবার। দুই পরিবারকে ডেকে থানায় সালিশি বৈঠক বসানো হয়। কিন্তু তাতেও কোনও সমাধানে পৌঁছানো যায়নি।
এর মাঝেই ‘আক্রান্ত’ হওয়ার আশঙ্কায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সদ্যবিবাহিত ওই দম্পতি। সে সময় ‘ছাগল চোর’ বলে তাড়া করে তাদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
গণপিটুনির শিকার তরুণের দাবি, সম্প্রতি তিনি বিয়ে করেছেন। কিন্তু সেই ‘বিয়ে’ মানতে নারাজ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিষয়টি সমাধানের জন্য শনিবার সন্ধ্যায় দুই পরিবারকে জলঙ্গি থানায় ডাকা হয়। শুরু হয় আলোচনা। কিন্তু সালিশি বৈঠকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পরিস্থিতি ‘বিপজ্জনক’ হতে পারে তা আঁচ করেই সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে গাড়িতে চড়ে পালানোর চেষ্টা করেন ওই যুবক। তার অভিযোগ, সেই সময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ‘ছাগল চোর’ বলে চিৎকার করে আরও বেশি লোকজন জুটিয়ে তাড়া করেন। তারা গাড়ি থামিয়ে তাদের ধরে ফেলে। এর পর গণধোলাই দেওয়া হয় তাদের। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই যুবকের দাবি, ‘আমার বিয়ে হয়েছে ওই তরুণীর সঙ্গে। আমরা দু’জনই প্রাপ্তবয়স্ক। কিন্তু বিয়ে মানতে চাইছেন না মেয়ের বাবা এবং মেয়ের পরিবার।’
অন্যদিকে, মেয়ের পরিবারের এক সদস্যের পাল্টা দাবি, ‘বিয়ের ব্যাপারে কোনও কথা হয়নি। ওই ছেলেটি মেয়েকে অপহরণ করে পালাচ্ছিল। এলাকার লোকজন দেখতে পেয়ে বাধা দিয়েছেন।’