বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের পশ্চিম ইসলামপুর গ্রামে এক মসজিদের ইমামের বাঁ হাতের কবজি এবং ডান হাতের দুটি আঙুল কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছে বাবলু মাঝি নামের এক যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য পশ্চিম ইসলামপুর জামে মসজিদের আহত ইমাম মাওলানা মো. ইয়াকুব আলীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার তিন ঘণ্টার মধ্যে ওই এলাকার একটি গভীর জঙ্গল থেকে বাবলুকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুপিয়ে আহত করার কাজে ব্যবহৃত ধারালো একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। মসজিদে ইতেকাফ করতে না দেওয়ায় ইমামকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বরিশাল জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত হামলাকারী বাবলু মাঝিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে জানতে পেরেছি, ৪-৫ দিন আগে অভিযুক্ত বাবলু মাঝি মসজিদে থাকার জন্য ইমামের কাছে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু ইমাম তাতে রাজি হননি। তা ছাড়া এই ইমামের নামাজ পড়ানো হয় না বলে যুবক অভিযোগ করতেন। এ নিয়ে ক্ষিপ্তও ছিলেন। সর্বশেষ মসজিদে থাকতে না দেওয়ার কারণে দা দিয়ে কুপিয়ে ইমামের হাত বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযান চালিয়ে বাবলু মাঝিকে ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, পরিকল্পিতভাবেই কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা চালান তিনি। বাবলু মাঝি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়ার একটি মাদরাসা থেকে আলিম পাস করেছেন।
এদিকে ইমামের ওপর হামলার খবর পেয়ে রাতেই থানা পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বাবলু মাঝিকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে হামলায় ব্যবহৃত ধারালো দা এবং ঘটনাস্থল থেকে বিচ্ছিন্ন কবজি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাজাহান।
বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে ইমাম মো. ইয়াকুব আলী ওই মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় বাবলু মাঝি ধারালো অস্ত্র নিয়ে ইমামের ওপর হামলা চালান। হামলায় ইমামের বাঁ হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ডান হাতেরও দুটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়েছে।