জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আগামীকাল ৩ মার্চ থেকে পঞ্চগড় জেলার আহমদ নগরে ‘আহমদিয়া জামাত’ তথা কাদিয়ানী সম্প্রদায় কর্তৃক আয়োজিত কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের ৩ দিনব্যাপী জাতীয় ইজতেমা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
আজ এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বিরানব্বইভাগ মুসলমানের দেশে আহমদীয়া মুসলিম জামাত নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায় মুসলমানের ঈমান নিয়ে তামাশা করবে, তা হতে পারে না। কাজেই তথাকথিত ইজতেমা বন্ধ করে জনতার রুদ্ররোষ প্রশমিত করার দায়িত্ব সরকারের। তারা বলেন, বিশ্বের সকল মুসলিমদের ঐকমত্যে কাদিয়ানীরা অমুসলিম বা কাফের। সৌদি আরবসহ বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রে আহমদীয়া মুসলিম জামাত নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু অমুসলিম আখ্যায়িত করা হয়েছে। এমনকি সৌদি সরকার আহমদীয়া মুসলিম জামাত নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে হজ্জের ভিসা প্রদান করে না।
এরপরও প্রকাশ্যে রাসূল সা. এর দুশমন কাদিয়ানীরা জাতীয় ইজতেমা’র নামে সহজ সরল ধর্ম-প্রাণ মুসলমানদের ঈমান হরণের সভা আয়োজনের অপতৎপরতা অত্যন্ত দুঃখজনক। কাদিয়ানী সম্প্রদায় কুরআন শরীফের তাফসীর প্রকাশসহ ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর প্রকাশনার কারণে সরকার তাদের সকল প্রকাশনা বাতিল করার পরেও এভাবে প্রকাশ্যে ইজতেমার আয়োজন রাসুল প্রেমিক ঈমানদার জনতার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই না।
তারা বলেন, প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা:) যে সর্বশেষ নবী এ কথা পবিত্র কুরআনের শতাধিক আয়াত এবং আড়াই শতাধিক বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তারা কুরআনের এসব আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদিসগুলো অস্বীকার করার কারণে কাফের হয়ে গেছে। এজন্য ঈমানদার জনতার ঈমানের দাবি কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম তথা সংখ্যালঘু ঘোষণা করুন। আমরা তাদেরকে দেশ থেকে চলে যেতে বলি না। অন্যান্য সম্প্রদায় যেমন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য জাতি সংখ্যালঘু হিসেবে বসবাস করে তারাও এভাবে সংখ্যালঘু হিসেবে বসবাস করবে।