সুইডেন ও ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় কুরআন পোড়ানো ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব দিবসের ফেস্টুন সরিয়ে নিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নেতাকর্মীদের হেনস্তা করার প্রতিবাদে আজ ০১লা ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ ও সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর এক যৌথ বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পবিত্র কুরআন আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থ। অতএব কুরআনের অবমাননা কোনোভাবেই মুসলিম বিশ্ব মেনে নিতে পারে না। কুরআনের অবমাননায় প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বিশ্বশান্তি বিনষ্টের অশুভ পাঁয়তারায় উন্মাদ আচরণ করছে সুইডেন ও ডেনমার্ক এর মুসলিম বিদ্বেষী গোষ্ঠী। গোটা বিশ্বের মুসলমান কুরআনের এই অবমাননায় ক্ষুব্ধ। এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড বন্ধ না করলে মুসলিম উম্মাহ সুইডেন ও ডেনমার্ক কে বয়কট করতে বাধ্য হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আজ পহেলা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবস। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ আজ হিজাব দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসে ব্যানার ফেস্টুনসহ প্রচারণাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের নির্দেশে প্রক্টরিয়াল টিম কর্তৃক হেনস্থার শিকার হয়। এ সময় তারা ব্যানার ফেস্টুন ছিনতাই করার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে প্রক্টরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন হিজাব একটি সাম্প্রদায়িক পোশাক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এর প্রচারণা চলবে না।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রক্টর কর্তৃক এমন উগ্র সাম্প্রদায়িক আচরণের তীব্র নিন্দা জানান নেতৃবৃন্দ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজা পার্বণ সহ অসংখ্য প্রোগ্রাম বিনা বাঁধায় আয়োজন হলেও হিজাব দিবসে কেন বাঁধা? ফ্রিডম অফ চয়েসের নাম দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন খুশি তেমন পোশাক পরিধানের ঘোষণা দিয়ে টিএসসি চত্বরে যখন বিদেশী সংস্কৃতির পোশাক পড়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় তখন প্রক্টর থাকেন নীরব। অথচ এদেশের আপামর জনতার ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এ দেশের মানুষের দেশীয় মূল্যবোধের পোশাক স্থান পাবে না ।
মুসলিম নবাব সলিমুল্লাহর প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন উগ্র সাম্প্রদায়িক প্রক্টরের আচরণ এ জাতির জন্য লজ্জার। অনতিবিলম্বে বর্তমান প্রক্টরকে প্রত্যাহার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে হিজাব কে ফরমাল পোশাক হিসেবে সংযুক্ত করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।