আগামীকাল ৩ মার্চ থেকে পঞ্চগড় জেলার আহমদ নগরে ‘আহমদিয়া জামাত’ তথা কাদিয়ানী সম্প্রদায় কর্তৃক আয়োজিত কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের ৩ দিনব্যাপী জাতীয় ইজতেমা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
কাদিয়ানীদের আয়োজনে পঞ্চগড়ে জাতীয় ইজতেমা নামে ঈমান বিধ্বংসী, ইসলাম- মুসলমান ও শেষ নবী বিরোধী অপতৎপরতা বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা।
আজ এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, আহমদীয়া মুসলিম জামাত নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায় বিশ্বের সকল মুসলিমদের ঐকমত্যে অমুসলিম বা কাফের। সৌদি আরবসহ বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রে আহমদীয়া মুসলিম জামাত নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু অমুসলিম আখ্যায়িত করা হয়েছে। এমনকি সৌদি সরকার আহমদীয়া মুসলিম জামাত নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে হজ্জের ভিসা প্রদান করে না।
এরপরও প্রকাশ্যে রাসূল সা. এর দুশমন কাদিয়ানীরা জাতীয় ইজতেমা’র নামে সহজ সরল ধর্ম-প্রাণ মুসলমানদের ঈমান হরণের সভা আয়োজনের অপতৎপরতা অত্যন্ত দুঃখজনক। কাদিয়ানী সম্প্রদায় কুরআন শরীফের তাফসীর প্রকাশসহ ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর প্রকাশনার কারণে সরকার তাদের সকল প্রকাশনা বাতিল করার পরেও এভাবে প্রকাশ্যে ইজতেমার আয়োজন রাসুল প্রেমিক ঈমানদার জনতার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই না।
তারা বলেন, প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ সা: যে সর্বশেষ নবী এ কথা পবিত্র কুরআনের শতাধিক আয়াত এবং আড়াই শতাধিক বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তারা কুরআনের এসব আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদিসগুলো অস্বীকার করার কারণে কাফের হয়ে গেছে। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, প্রশাসন যদি তাদের ঈমান বিধ্বংসী কথিত জাতীয় ইজতেমা বন্ধে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে দেশের ঈমানদার নবী প্রেমিক জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
এন.এইচ/
1 thought on “যেকোনো মূল্যে কাদিয়ানিদের ইজতেমা বন্ধ করতে হবে : ইসলামী আন্দোলন”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তথা পীর সাহেব চরমোনাইকে এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে হবে। তাহলেই এই কাফেরদের সকল কার্যক্রম বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিদায় করা সম্ভব হবে।