ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, দুর্নীতি, অপচয়, অব্যবস্থাপনা ও সিস্টেম লসের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বাড়ায় এখন জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মূলত বিদ্যুৎ সেক্টরে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাশুল গুনছে জনগণ। জনগণের চরম দুর্দিনে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর এ অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গণবিরোধী ও অবিবেচনা প্রসূত। প্রতিমাসে দাম সন্বয়ের নামে প্রকারান্তরে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হবে, যা জনগণের সঙ্গে খুচরা চালাকি।
আজ রোববার (১৫ জানুয়ারি) বাদ জোহর পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ২০২৩-২৪ সেশনের কেন্দ্রীয় মজলিসে আমেলার প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছিলো ভোটাধিকারের প্রশ্নে। ভোটের অধিকার রক্ষার আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলনে পরিণত হয়েছিলো। স্বাধীনতার ৫১তম বছরে এসেও বাংলার মানুষ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত, এর চেয়ে কলংকজনক বিষয় আর কিছু হতে পারে না।
তিনি বলেন, লজ্জাজনক বিষয় হলো, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই সেই ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এই কলংক আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের জন্য লজ্জাজনক।
তিনি আরও বলেন, সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, ভ্রান্ত নীতির ফলে দেশের অর্থনীতিতে এবং জনজীবনে তীব্র সংকট চলছে। চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ সব দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে যখন নাভিশ্বাস উঠেছে। জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় যখন লাগামহীনভাবে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের এ তুঘলকি সিদ্ধান্ত মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। দুইমাস আগে পাইকারি পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির পর এবার খুচরা তথা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষি সেচে, কল কারখানায় উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার ব্যয় ও প্রতিটি জিনিসের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বিদ্যুতের বর্ধিথ মূল্যেল সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান।
মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ মুহাম্মদ আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মনির হোসেন, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ এসহাক মুহা: আবুল খায়ের, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম তালুকদার,
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মকবুল হোসাইন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা: নাছির উদ্দিন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী দেলাওয়ার হোসেন সাকী, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাওলানা শোয়াইব হোসেন, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম রুহুল আমীন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ লতিফ, সহ-দফতর সম্পাদক মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, সহ-প্রশি¶ণ সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা: দেলোয়ার হোসেন (ঢাকা), আলহাজ্ব আল মুহাম্মদ ইকবাল (চট্টগ্রাম), আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল মজুমদার।
এন.এইচ/