এম শাহরিয়ার তাজ, খুলনা প্রতিনিধি:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর ও খুলনা মহানগর সভাপতি প্রিন্সিপাল আব্দুল আউয়াল বলেছেন, বর্তমান ডামি সরকার দেশবিরোধী ১০টি সমঝোতা চুক্তি করেছে। যাতে বাংলাদেশের ন্যুনতম কোন স্বার্থ নেই। সব স্বার্থ ভারতের। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে শেখ হাসিনা দেশকে ভারতের করদরাজ্যে পরিণত করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। অবিলম্বে ভারতের সাথে দেশবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের রেল চলতে দেওয়া হবে না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলে দেশের মানুষকে ধোকা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আর দেশটাকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। মালদ্বীপের সরকার প্রধান নির্বাচনে বিজয়ের পর দেশ থেকে ভারতীয় সেনা বিতাড়িত করেছেন। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতকে তোয়াজ করে ক্ষমতায় টিকে আছেন।
আজ শুক্রবার (৫ জুলাই ) বিকাল ৩ টায় নগরীর নিউমার্কেট বায়তুন নূর মসজিদের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলার উদ্যোগে ভারতের সাথে সকল চুক্তি বাতিল এবং চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ও দ্রব্যমূল্যেল ঊর্ধগতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সেক্রেটারী মুফতি ইমরান হোসাইন ও জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ গালিবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের, জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা শায়খুল ইসলাম বিন হাসান, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মোঃ জামিল আহমেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবু গালিব, মোঃ রেজাউল করীম, অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মোঃ শাহিন, মাওলানা হারুনুর রশিদ, এইচএম আরিফুল ইসলাম, গাজী মিজানুর রহমান, শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, মোঃ মহিবুল্লাহ, মোঃ হুমায়ুন কবির, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা আসাদুল্লাহ হামিদী, আলহাজ্ব আবুল কাশেম, ডাক্তার মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, এ্যাডঃ কামাল হোসেন, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মাওলানা নাসিম উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রওশন আলী, আলহাজ্ব সরোয়ার বন্দ, ডাক্তার রাকিবুল ইসলাম, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, হাফেজ আব্দুল লতিফ, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, মোল্লা রবিউল ইসলাম, গাজী ফেরদাউস সুমন, শেখ মোঃ নাজমুল হুদা, মোঃ এনামুল হাসান, মুফতী মইনুল ইসলাম, নুরুল হুদা সাজু, মাষ্টার মঈনুদ্দিন ভুইঁয়া, মাওলানা আবু সাঈদ, মোঃ ইসমাইল হোসেন, আলহাজ্ব মারুফ হোসেন, ক্বারী জামাল হোসেন, কাজী তোফায়েল হোসেন, মোহাম্মদ কবির হোসেন, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসুম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, আলফাত হোসেন লিটন, ইসমাইল হোসেন দুলাল, মোঃ কামরুজ্জামান, শ্রমিক নেতা এস এম আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা ইলিয়াস হোসেন, মোঃ ইব্রাহিম খান, যুবনেতা মুফতি আমিরুল ইসলাম, মুফতি ফজলুল হক ফাহাদ, ইমরান হোসেন মিয়া, আব্দুস সবুর, এস কে নাজমুল হাসান, মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, মোঃ আমজাদ হোসেন, শিক্ষক নেতা মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে, মাওলানা মাহবুবুল আলম, ছাত্র নেতা মোঃ মঈনউদ্দীন, আবু রায়হান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফরহাদ মোল্লা, মাহাদী হাসান মুন্না, নাঈম ইসলাম, মোস্তফা আল গালিব, মোঃ রফিকুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ মেসবাহ, মোঃ বনি আমিন, মোঃ শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রিন্সিপাল আব্দুল আউয়াল বলেন, ভারত থেকে ট্রানজিটে আসা ট্রেনে মাদক, বোমা, অস্ত্র নেই এটা কীভাবে বুঝবো। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত না করে ভারতের সাথে চিকিৎসা চুক্তি করাও চরম ব্যর্থতা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের মানুষ তাকে ভালবাসেন। ভাল তো বাসবেই, কারণ আপনি তো বাংলাদেশের নেতা নন, ভারতের তল্পিবাহক।
তিনি আরও বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রধানকে যদিও প্রধানমন্ত্রী বলা যায় না, তবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আমরা প্রধানমন্ত্রী বলছি। আপনি ভারতের সাথে চুক্তি করেছেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য, দেশ বিক্রির জন্য নয়? এখন আর দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রয়োজন নেই। ছাগল-গরু দিয়েই দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করা যায়। আমাদের ব্যাংকের টাকা কোথায় গেল? পুলিশ প্রশাসন সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছে, তাদের দুর্নীতির সংবাদ প্রচার না করার জন্য। আপনারা দুর্নীতি-দুঃশাসন বন্ধ করুন, সাংবাদিকরা আপনাদের বিরুদ্ধে লেখা বন্ধ করবে।
নগর সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, ভারত সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী যে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, এটাকে সাংবাদিক সম্মেলন বলা যায় না। এটাকে তেলবাজির সম্মেলন বলতে হয়। অর্থমন্ত্রী সংসদে দাড়িয়ে যে তথ্য আমাদেরকে দিয়েছেন, তাতে প্রমাণ হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি টাকা ভারতে পাচার হয়েছে। তিনি বলেন, ৫০.৬ বিলিয়ন ডলার বৈধভাবে ভারতে পাচার হয়েছে। অথচ চায়না বাংলাদেশে অসংখ্য প্রজেক্ট পরিচালনা করলেও চীনে বৈধভাবে গিয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার। ভারত আমাদের কীভাবে উপকার করে এটাই তার প্রমাণ। দ্রব্যমূল্যের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, আলু কিনতে হয় ৭০ টাকায়, কাচামরিচ ৩৫০ টাকায়, ডিম হালি কিনতে হয় ৬০ টাকায়। এই হলো স্মার্ট উন্নয়নের নমূনা? এ সরকার মানুষকে বাচা নয়, মারার জন্য সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে।
পরে একটি বিশাল মিছিল বায়তুন নূর মসজিদ থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।