ব্লগার অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িত মেজর জিয়া ও আকরাম অন্য কোনো দেশে গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি জানান, তাদের খোঁজা হচ্ছে।
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের একটি গ্রুপ এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে। ওই সময় আমাদের দেশে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছিল। তবে আমাদের দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা আছেন তারা তাদের সকল কর্মকাণ্ড ব্যর্থ করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের সামনে মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মেজর জিয়া ও আকরামকে আমরা খুঁজছি কিন্তু আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে অন্যকোনো দেশে গা-ঢাকা দিয়ে আছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহম্মেদ, মানিকগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দূর্জয়, জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, অভিজিৎ রায়কে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বলে যাদের সন্দেহ করা হয় – সেই ‘মেজর জিয়া’ নামে পরিচিত সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেনের ব্যাপারে তথ্য দেবার জন্য ৫০ লাখ ডলার পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
এ তথ্য জানিয়ে প্রকাশ করা একটি পোস্টারে বলা হয়, ‘২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি বইমেলা থেকে বেরিয়ে আসার সময় আল-কায়েদাভিত্তিক সন্ত্রাসীরা মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায়কে হত্যা করে এবং তার স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদকে আহত করে।’
এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের একটি আদালতে ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেয়া হয়েছে উক্ত হামলায় তাদের ভূমিকার জন্য। ওই আসামিদের মধ্যে দুজন – সৈয়দ জিয়াউল হক (ওরফে মেজর জিয়া) এবং আকরাম হোসেনের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছিল এবং তারা এখনো পলাতক রয়েছেন।’






