ভারতের কর্ণাটকে হিজাব বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। কর্ণাটক হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছে।
আপিল করেছেন নাইবা নাজ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এই আপিল করা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নাইবা নাজ স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আপিল করেছেন। উল্লেখ্য, তিনি উদুপির ওই পাঁচ শিক্ষার্থীদের কেউ নন। এর আগে, কর্ণাটকের হাইকোর্ট হিজাব পরা নিষিদ্ধ করে দেওয়া রায়ে বলেছেন, ধর্মীয় কারণে হিজাব মোটেই অপরিহার্য নয়।
মঙ্গলবার ভারতের কর্ণাটক হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব বা গেরুয়া ওড়না পরে প্রবেশের ওপর রাজ্য সরকার যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেটিও বহাল রেখেছে।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, ‘স্কুলগুলোর ড্রেস কোড আরোপ করার যুক্তিসংগত কারণ ছিল। ধর্ম বা অন্য যে কোনো ধরনের বিভাজন রোধ করার স্বার্থে স্কুলগুলো হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল। এই ধরনের “নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য হলো একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করা” এবং সমতাবিধানের এই আদর্শগুলো সকল শিক্ষার্থীদের কাছে স্পষ্ট হওয়া উচিত।’
তবে রায়ের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মামলা দায়েরকারীরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবিধান আমাদের ধর্ম নিয়ে কথা বলার অধিকার দেয়। আমরা একটা ধাক্কা খেয়েছি। আমরা খুব বেশি কিছু আশা করেছিলাম। আমরা হিজাব ছাড়া কলেজে যাব না।’
এর আগে, চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক সরকার হিজাব ও ওড়না নিষিদ্ধ ঘোষণার পরই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল শিক্ষার্থীরা। ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বহাল রাখে হিজাবের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা।
১১ দিন শুনানির পর মঙ্গলবার কর্ণাটক হাইকোর্ট জানিয়ে দেন, হিজাব মোটেই অপরিহার্য নয়। তাই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে। একই সঙ্গে হিজাবের পক্ষে দাখিল করা পাঁচটি মামলাও খারিজ করে দেন আদালত। সূত্র: এনডিটিভি।