স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি গায়েবের ঘটনায় স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের চার কর্মচারীকে চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। চিহ্নিত চার জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. নুর আলী বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাদিরা হায়দার জিডি করেন। এরপর নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলমকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) মো. আহসান কবীর, উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের ও উপসচিব মল্লিকা খাতুন।
জিডির পর ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তের অংশ হিসেবে ৩১ অক্টোবর সকালে সচিবালয়ে যান সিআইডি ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা। তারা সচিবালয় তিন নম্বর ভবনের নিচতলার ২৪ নম্বর কক্ষে (যে কক্ষ থেকে ফাইল চুরি হয়েছে) গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেন। এ কক্ষে কর্মরতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই কক্ষের ছয় জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুপুর সোয়া ১টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে সিআইডি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তারা হলেন—জোসেফ, আয়শা, বাদল, বারী, মিন্টু ও ফয়সাল। তবে যে চার কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের নাম জানানো হয়নি।