মুহাম্মাদ বেলাল হোসাইন, নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ প্রতিনিধি:
আগামী ২৬ ডিসেম্বর আসন্ন ২০ নং আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামি আন্দোলনের মনোনীত হাতপাখা প্রতিকের প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা আবদুল করীম এখন পর্যন্ত জন এবং মাঠ জরিপে এগিয়ে।
অন্য বছরের নির্বাচনের তুলনায় এবছরের নির্বাচনের পরিবেশ এবং বাতাস ভিন্ন মেসেজ দিচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এটা বলাই বাহুল্য। কারণ অন্য বছর প্রার্থী ছিলো মাত্র তিনজন হাতপাখা, নৌকা আর ধান, আ.লীগের সবাই ভোটারদের থেকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে নৌকার প্রার্থীকে জিতিয়ে দিয়েছে।
এ বছর এরকম হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। নৌকার প্রার্থীর বাহিরেও আ.লীগের সতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে প্রায় দু’হালি সুতারং বলাই যায় নৌকার ভোট আট ভাগ হয়ে যাবে।
অন্য দিকে ধানের শীষের কোন প্রার্থী না থাকায় ধান সমর্থিত ভোটারের চোখ এখন হাতপাখার দিকে। এবং মহিলা ভোট ব্যাংক হাতাপাখার দখলে। পাশের ইউনিয়ন চরকাদিরা(কমল নগর,লক্ষীপুর)এর প্রভাবে আন্ডারচরের দক্ষিনাঞ্চলে হাতপাখার একনম্বরে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
২০ আন্ডারচরের জনগণ জানান, যুব এবং শিক্ষিত সমাজ এখন পরিবর্তন চায়, তাদের একটাই কথা তারা কোন দুর্নীতিবাজকে আর চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করবেনা।
যে এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করবে তাকেই আমরা ভোট দিবো। এবং আগামি ৫ বছরের জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে তার হাতেই তুলে দিবো।
হাতপাখা প্রতিকের প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা আবদুল করীম জানান আমি মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না। একজন চেয়ারম্যান হিসেবে যে গুলো আমি পূরণ করার সমর্থ রাখি শুধু সেগুলোই দিচ্ছি।
আমি এমন কোন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না যেগুলো পূরণ করবো না। তিনি আরো জানান নির্বাচনে বড় অঙকে আমার কোন খরছ নেই সুতারং আমি নির্বাচিত হলেই উন্নয়ন কাজ শুরু করা সময়ের ব্যপার।
এখন শুধু ২৬ ডিসেম্বরের অপেক্ষায়, জনগণ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। নির্বাচনে বিজয় হওয়ার বিষয় আমি শতভাগ আশাবাদী।






