নিজস্ব প্রতিবেদক -চট্টগ্রাম নগরীর চাক্তাই ফাইভ স্টার গলিতে ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভবনে মানুষের বসাবস সহ অবাধে চলছে সেমাই ফ্যাক্টরির কার্যক্রম।মোহাম্মদ মিয়া নামের এই ভবনটির বয়স প্রায় ১০০ বছর।৩তলা বিশিষ্ট এই ভবনটির অনুমোদন নেই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের।তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে বসবাস করছে ৫০টিরও অধিক পরিবার।ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ছাড়াও এর নিচে রয়েছে ভবন মালিকেরই সেমাই এর মিল।দৈনিক ১২-১৩ ঘন্টা জ্বলতে থাকে সেমাই এর চুল্লি।ফলে অতিরিক্ত গরম এর কারনে উপরে মানুষের বসাবসের অযোগ্য হলেও বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে থাকছে এখানকার ভাড়াটিয়ারা।চুল্লীর অতিরিক্ত তাপের কারনে ভবনের নিচ থেকে ফাটল ধরেছে বেশ কয়েক জায়গায়।পিলারগুলোর একই চিত্র।মূল পিলার গুলো ফাটল চোখে পড়ার মত।দেখে মনে হবে যেকোনো সময়ই ভেঙে পড়তে পারে ভবনটি।
গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী সহ সারাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অহরহ ঘটেই আসছে।প্রাণহানি সহ ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে সম্পদেরও।এমতাবস্থায় ভবনগুলোর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা সহ কাঠামোগত বিষয়ের উপর বেশ নজর দিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুলো।কিন্তু চাক্তাই এর এই ভবনের চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নিয়মানুযায়ী যেখানে একটি ভবনের বেসম্যাটে গাড়ি পার্কিং,স্টোর রুম বা অগ্নি নির্বাপক রুম থাকার কথা সেখানে অননুমোদিত এই ভবনটি রীতিমতো খেলছে আগুন নিয়ে।ফলে অগ্নিকাণ্ডের শঙ্কা থেকেই যায় স্থানীয় ভাড়াটিয়া সহ এলাকার মানুষজনের মধ্যে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান,”ভবনটি দিয়ে দৈনিক উপর থেকে গোল গোল চাক পরে।আমরা নিচ দিয়ে আশা যাওয়া করি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তেই পারে।আর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তো ঘটেই।তাই ভবনটি সরিয়ে ফেলা হোক”।
একদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অন্যদিকে অগ্নিকাণ্ডের মুখে থাকা ভবনটির বিষয়ে কথা বললে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দীনমনি শর্মা জানান,ঘটনাস্থল আমরা পরিদর্শন করে যদি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয় আমরা সেটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করবো।আর বিল্ডিং কোড অনুযায়ী এভাবে একটি ভবনের নিচে কখনোই তুন্দুল বা আগুনের চুল্লী থাকতে পারেনা”।
ভবনটির বিষয়ে মালিক মোহাম্মদ মিয়ার বড় ছেলেকে একাধিকবার ফোন দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
সব ছাপিয়ে ভয় ও শঙ্কায় থাকা এই এলাকার মানুষ জনদের একটাই দাবি সরিয়ে ফেলা হোক ঝুকিপূর্ণ ভবনটি।






