এখনও হজ প্যাকেজই ঘোষণা করেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়। ৩১শে মে হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে না।
৩১শে মে হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে না, এটা নিশ্চিত। কারণ হজ প্যাকেজই ঘোষণা হয়নি এখনও। অথচ প্যাকেজের ওপরই নির্ভর করছে পরবর্তী যাবতীয় কার্যক্রম। অবশ্য বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন-হাব বলছে, নিজ নিজ করণীয় পালনে তারা সর্বতো প্রস্তুত, শুধু অপেক্ষা হজ প্যাকেজ ঘোষণার।
গত ২৭শে এপ্রিল সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরুর একটি সম্ভাব্য তারিখ ৩১শে মে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সে সম্ভাবনা আর আলোর মুখ দেখছে না। তাছাড়া এত কম সময়ে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েও সংশয়ে ছিল হাব।
এরমধ্যে গত ৫ই মে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে দ্রুত হজ প্যাকেজ ঘোষণা করতে অনুরোধ জানায় হাব। আর ৭ই মে হাব আরেকটি চিঠিতে ১০ই জুনের আগে হজ ফ্লাইট শুরু না করতে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানায়।
হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, আমরা এজেন্সিকে আগে থেকেই বলে রেখেছি তাদের কোন প্রতিনিধি সৌদিতে গিয়ে বাড়ি ভাড়ার জন্য যাবে তা যাতে আগেই ঠিক করে রাখে। হজ যাত্রীরাও যাতে টাকা-পয়সা প্রস্তুত রাখে। কারণ কোন হজ যাত্রীরা যাবেন তারও একটা সিলেকশন আছে।
সবকিছু হিসাব করে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, ৩১শে মে হজের প্রথম ফ্লাইট যাচ্ছে না। এরপরও যাবতীয় প্রস্তুতি সংশ্লিষ্টদের রয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, আমাদের ৩১শে মে’র জন্য একটা প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু আমাদেরকে জানানো হয়েছে এই সময়ের মধ্যে তা করা সম্ভব হবে না। সিলেট এবং চট্টগ্রাম থেকে যারা যাবে তাদের ইমিগ্রেশন কিন্তু এখান থেকে হবে না। কারণ ইমিগ্রেশনের একমাত্র সুবিধা শুধু ঢাকাতেই আছে এবং এই কাজটা সৌদি কর্তৃপক্ষই করে।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর সাড়ে ৫৭ হাজার মানুষ হজে যেতে পারবেন। ৭৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইটের মাধ্যমে ৩১ হাজার যাত্রী পরিবহণ করবে বিমান, বাকিরা যাবেন সৌদিয়া এয়ারলাইন্সে।
করোনার কারণে গত দুই বছর সৌদি আরবের বাইরের কেউ হজ করার সুযোগ পাননি। প্রতি বছর সাধারণত ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষ হজ পালনের অনুমতি পান। কিন্তু করোনা মহামারির মধ্যে সৌদি সরকার এবার বিশ্বের ১০ লাখ মানুষকে হজে যাওয়ার অনুমতি দেবে।