বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণের মাঝে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে আর মাত্র ক’দিন বাকি। তবে গত ২৬ জিলকদ থেকে মক্কা শরিফে ১৪৪২ হিজরী সালে পবিত্র হজের হোম কোয়ারেন্টিনে নির্বাচিত হজযাত্রীদের অবস্থান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
চলতি বছর হজে অংশগ্রহণের জন্য ৫ লাখ ৪০ হাজার নারী-পুরুষ আবেদন করেছিলেন। সৌদি সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী এবারো কঠোর লকডাউনের মাঝে এবার ৬০ হাজার নারী-পুরুষকে পবিত্র হজের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ হাজার সৌদি নাগরিক বাকি ৪৫ হাজার সউদী আরবে অবস্থানকারী বিদেশি নাগরিক।
নির্বাচিত এসব হজযাত্রী মক্কা শরিফে পাঁচ থেকে সাত দিন নির্ধারিত বাড়ি এবং হোটেলে হোম-কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করবেন। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ৬০টি ইউনিট এর মাধ্যমে হজ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে। সৌদি আরবের মদিনা মুনাওয়ারা থেকে নদওয়াতুল ওলামা আল আলামিয়ার চেয়ারম্যান মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী গতকাল শুক্রবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেন, আমার পরিচিত মদিনার এক পরিবার গতকাল হজের উদ্দেশে মক্কায় গিয়ে হোম-কোয়ারেন্টিনের অবস্থান নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছে, অনুমোদনপ্রাপ্ত হজযাত্রীরা মক্কার বিভিন্ন হোটেল ও বাড়িতে হজের যাত্রার আগে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে শুরু করেছেন। তিনি জানান, মিনায় হাজীদের তাঁবুগুলো বিশেষ ব্যবস্থায় টানানো হয়েছে।
মদিনা থেকে প্রবাসী বাংলাদেশি শেখ আবু আহমাদ স্বপরিবারে চলতি বছর হজ পালনের জন্য আবেদন করেছিলেন সৌদি হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু তার আবেদন মঞ্জুর হয়নি। জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসের শ্রম সচিব মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এবারের পবিত্র হজ অনেকটা লটারির মাধ্যমে হচ্ছে। সৌদিতে অবস্থানরত কতজন বাংলাদেশি এবার হজের সুযোগ পেয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন কোনো পরিসংখ্যান জানা যায়নি। তবে কেউ হজের অনুমতি পেয়ে থাকলে একমাত্র তিনি জানতে পারবেন। সূত্র: ইনকিলাব