ফুটবল বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র ৪ দিন। এ বিশ্বকাপের উত্তাপ ছড়াচ্ছে দেশের সর্বত্র। বিশ্বকাপ ঘিরে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে চলছে উৎসবের আমেজ। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকজুড়ে অন্যদেশের পতাকা টানানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকজুড়ে দুটি পতাকা টানায় ব্রাজিলের সমার্থকরা। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এভাবে ভিনদেশি পতাকা টানানোর কোনো মানে হয় না বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
অনেক শিক্ষার্থী সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আনন্দকে বেদনায় রূপান্তরের কোনো মানে হয় না। ফুটবল বিশ্বকাপে আমাদের প্রিয় দল থাকবে আর আমরা বাঁধভাঙ্গা আনন্দ করবো এটা স্বাভাবিক। তাই বলে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ভিনদেশি পতাকা টানানো হবে!! আমাদের ২/৪ টা কাগুজে সার্টিফিকেট আর মার্কশিট দিচ্ছে বৈকি, বাস্তবে আমরা আসলে বিবেকহীন হচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শাহ পরাণ নামের এক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ফুটবল পছন্দ করি বলেই কেউ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানির সাপোর্ট করতেই পারি, এটা যার যার ব্যক্তিগত পছন্দ। আমি ব্রাজিলের পতাকা আমার ফোনের ওয়ালপেপারে দিতেই পারি। বাসার ছাদে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার পতাকা টানাতেই পারি। কিন্তু দেশের একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যা আমাদের বাংলাদেশকে ধারণ করে এমন একটা সরকারি প্রতিষ্ঠানের মেইন গেইটে কিভাবে ভিনদেশের পতাকায় সয়লাভ করে গেইট সাজাই! হোক সেটা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান! এটা তো কোনো বিয়ের গেইট না যে যা মন চায় তাই করলাম! আমাদের সুবুদ্ধি, সুচিন্তার উদয় হোক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমি দেখামাত্রই এটা সরানোর নির্দেশ দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে কোনো ভিনদেশের পতাকা টানানো যাবে না।