পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনা জেলার ১০ উপজেলা প্লাবিত হলেও সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে ৭৭টি ইউনিয়ন। গত এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ লাখে। এমন অবস্থায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন পানিবন্দিদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপশি আলেম ও বিভিন্ন সংগঠন জনপ্রতিনিধিরাও দিচ্ছে ত্রাণ সহায়তা।
সরকারী হিসাব অনুয়ায়ী বন্যার পানিতে ডুবে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাত পর্যন্ত ৫ জনের খবর পাওয়া গেছে। এদিকে কলমাকান্দায় ডায়রিয়ায় মারা গেছেন একজন।
এদিকে কলমাকন্দায় উব্দাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে দুপুর পর্যন্ত নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত। খালিয়াজুরীতে ধনু নদীর পানি রয়েছে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপরে। এদিকে জারিয়া পয়েন্টে কংশ নদীর পানি নেমেছে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচে। দূর্গাপুরে সোমশ্বরীর নদীর পানিও বিপৎসীমার ৩৬১ সেন্টিমিটার নিচে নেমেছে।
অন্যদিকে বন্যায় প্রথম কবলিত জেলার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার পানি কিছুটা কমে আসলেও নতুন নতুন এলাকায় পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বেড়েছে জেলা শহরের মগড়া নদীর পানি। উপচে প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তীসহ জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের পিছনের বাড়িঘরগুলোও। ডুবে আছে জেলা থেকে উপজেলার মূল সড়কসহ গ্রামীণ প্রায় সকল সড়ক। দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। বাড়ি থেকে যেমন বের হতে পারছে না। তেমনি বাড়ি ঘরে গিয়ে অন্যরাও খোঁজ নিতে পারছে না এমন এলাকা রয়েছে বহু।
পানিতে তলিয়ে রয়েছে মদন, আটপাড়া, মোহনগঞ্জ উপজেলাসহ প্রতিটি উপজেলার বেশকিছু গ্রাম। হাঁস মুরগি সহ বিভিন্ন গবাদি পশু মূল সড়কের কাছে রাখছেন ভোগান্তির শিকার মানুষগুলো। পানি যেনো সরছেই না।






