পর্তুগাল ও বাংলাদেশ উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বন্ধু সুলভ সম্পর্ক বিদ্যমান দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন এর হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১৫ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি দেশটিতে বসবাস করছে।
তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ভারত থেকে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার অবসান ঘটিয়ে ঢাকায় দ্রুত কনসুলেট সেবা কিংবা ভিএফএস স্থাপন করা।
বাংলাদেশে পর্তুগালের দূতাবাস কিংবা ভিএফএস না থাকায়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভিসা সংক্রান্ত কারণে ভারতের দিল্লীতে যেতে হয়। প্রবাসীদের তথ্য অনুযায়ী সেখানে অনেক বাংলাদেশিদের হয়রানি কিংবা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন ও হতে হয়, যা মোটেও কাম্য নয়। তাছাড়া বর্তমানে করোনার কারণে দিল্লীতে দীর্ঘদিন পর্তুগিজ দূতাবাস বন্ধ থাকে। পাশাপাশি অনেকেই ফ্যামেলি ভিসার জন্যে আবেদন করার পর অনুমতি পেয়েও দিল্লিতে ফাইল জমা দিয়ে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এর ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনে করেন, ঢাকায় কনসুলার সেবা চালু করাই হবে এটার একটা উপযুক্ত সমাধান।
এদিকে বাংলাদেশে পর্তুগিজ কনসুলার সেবা কিংবা ভিএফএস স্থাপনের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দূতাবাসের কাছে জানতে চাইলে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ জানান আমরা এ লক্ষে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভিএফএস চালু হলে কিংবা অনুমোদন পেলে, বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন কর্তৃক সাংবাদিকদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে জানানো হবে।
এ বিষয়ে পর্তুগালে ক্ষমতাশীন দল স্যোশালিস্ট পার্টির নেতা শাহ আলম কাজল জানান, আমরা এখনো অপেক্ষায় আছি, তবে নিশ্চিত নই, কবে নাগাদ ঢাকায় পর্তুগিজ কনসুলেট সেবা চালু করতে পারবো। তবে ২০১৯ সালে ইমেইলের মাধ্যমে পর্তুগিজ অথরিটি আমাকে জানিয়েছিল ঢাকায় কনসুলেট সেবা খোলা, এটা একটি ব্যায়বহুল প্রকল্প। যাই হোক দিল্লী থেকে আমাদের একটি দল ঢাকা পরিদর্শন করবে, অদৌ সেখানে ভিএফএস’র প্রয়োজন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্যে। অতপর ২০১৯ সাল থেকে করোনা মহামারি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আর জানা হয়নি, তবে সাম্প্রতিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।