আবু বকর, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নাধীন ঘোলদাড়ী জামে মসজিদ। মসজিদটি তৎকালীন বৃহত্তর কুষ্টিয়া (কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর) জেলার প্রথম স্থাপিত জামে মসজিদ হিসেবে পরিচিত। এই মসজিদটি ঘোলদাড়ী বাজার থেকে প্রায় ১ কিঃ মিঃ দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থিত।
স্থানীয়দের ধারণা সম্ভবত ১০০৬ (বাংলা ৪১৩ সন) সালের দিকে হজরত খাইরুল বাসার ওমজ (রহ.) ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে আলমডাঙ্গা উপজেলায় ঘোলদাড়ী গ্রামে মসজিদটি নির্মাণ করেন।
ইতিহাসবিদদের মতে, ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির নদীয়া বিজয়ের অনেক আগে ঘোলদাড়ী মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে এ মসজিদ।
ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, প্রথম শতাব্দীর কোনো এক সময় হজরত খাইরুল বাসার ওমজ (রহ.) নদীপথে আলমডাঙ্গায় আসেন। আসার সময় ঘোলদাড়ী এলাকায় শেষ হয় নদীর কূল। সে সময় ঘোলদাড়ী এলাকায় কিছু বাড়িঘর ছিল। ইসলাম প্রচারের জন্য ঘোলদাড়ী গ্রামে আস্তানা গড়েন তিনি। এখান থেকেই তিনি ইসলাম প্রচার-প্রসারের কাজ শুরু করেন।
এ সময় তিনি এ গ্রামে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। এটিই বর্তমানে ঘোলদাড়ী জামে মসজিদ হিসেবে পরিচিত। হজরত খাইরুল বাসার ওমজের (রহ.) মৃত্যুর পর এ মসজিদ প্রাঙ্গণেই তাকে দাফন করা হয়।
প্রেজেন্ট নিউজ জেলা প্রতিনিধি এ ঐতিহাসিক স্হাপনা প্রাঙ্গণে কোন কবরের চিন্হ না দেখতে পেলে মসজিদের ওয়াক্তিয়া ইমাম ও মুয়াজ্জিন জনাব আইনুদ্দিনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, এটি আগে ছিল কিন্তু সংস্কার কাজের দরুন তা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তিনি মসজিদ প্রাঙ্গণে সর্বমোট ২ জন দায়ীর কবর আছেন বলে ধারণা করেন।
আর.আই/






