রবিবার | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | দুপুর ১:৫১

রবিবার | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | দুপুর ১:৫১

পারলেন না সোহান, বাংলাদেশ হারল ১৭ রানে

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram
  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৫:১১ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
  • বিকাল ১৫:৪০ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৭:১৯ অপরাহ্ণ
  • রাত ১৮:৩৮ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ

যেমনটা ভালো খেলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, তিনি নিজে সেটা করে দেখালেও পারলেন না তার দলের অন্য সদস্যরা। তাই তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে অল্পের জন্য হেরেছে টাইগাররা।

শনিবার হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশী বোলারদের এলোমেলো বোলিং এবং ফিল্ডারদের মিসফিল্ডিংয়ে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করে ৩ উইকেটে ২০৫ রান। জবাবে ছয় উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পারে ১৮৮ রান। এতে ১৭ রানে পরাজয় সফরকারীদের। ফলে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া এই তরুণ পয়েন্টে ক্যাচ দেন। ৮ বলে ৪ রান করেন তিনি। সেই ধাক্কা কাটিয়ে লিটন দাস আর এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৬০ রান তোলে সফরকারীরা। তবে এই দুইজন তালগোল পাকিয়ে বসেন ইনিংসের সপ্তম ওভারে।

উইলিয়ামসের বলে শর্ট ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ দেন লিটন। কিন্তু উদযাপন করতে গিয়ে ফেলে দেন এনগ্রাভা। লিটন না বুঝে হাঁটা দেন ড্রেসিংরুমের দিকে। এদিকে নন স্ট্রাইক প্রান্তে উইলিয়ামসকে বল পাঠিয়ে দেন এনগ্রাভা। সাথে সাথে উইকেট ভেঙে দেন উইলিয়ামস। নানা নাটকীয়তার পর আউট দেন টিভি আম্পায়ার। নিজের ভুলে রানআউটের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। ৬ চারে ১৯ বলে ৩২ রান করে ফেরেন তিনি।

টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা বিজয়ই যেন এদিন দলকে ডুবিয়ে দিলেন! ২৭ বল খেলে ২৬ রান করে আউট হন তিনি। তার ওয়ানডে ঘারানার ব্যাটিংয়ে আরো চাপে পড়ে দল। পাঁচে নামা আফিফ হোসেন দ্রুত রান তুলতে গিতে ফেরেন ৮ বলে ১০ রানে। তবে একপ্রান্ত আগলে খেলেন তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত, সোহানের সাথে ২১ বলে ৪০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে খেলায় রাখেন তিনি। ইনিংসের ১৬তম ওভারে থামে শান্তর ব্যাট। ৩ চার, ১ ছয়ে ২৫ বলে করেন ৩৭ রান।

১৬ ওভারে ১৪৬ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের তখন জয়ের জন্য ২৪ বলে প্রয়োজন ৬০ রান। সে মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নিজ ব্যাটে ঝড় তুলে খানিক আশার সঞ্চার জোগান সোহান। তবে মোসাদ্দেক হোসেন ১০ বলে ১৩ রান করে আউট হলে কাজে আসেনি নতুন অধিনায়কের ২৬ বলে অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংসটি। ১টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানোর সোহানের এই ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু।

নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৮৮ রানে। এতে ১৭ রানের জয়ে সিরিজের এগিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে। আরো একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মিশনে নিজেদের ব্র‍্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে নেমে আরো একটি পরাজয়ের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ দল।

এর আগে অধিনায়কত্বের অভিষেকে টসে হেরে যান সোহান। ফিল্ডিং পায় বাংলাদেশ। বোলিংয়ে নেমে টাইগার অধিনায়ক সোহান যেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। প্রথম পাঁচ ওভারে পাঁচজন বোলার দিয়ে বোলিং করান সোহান। যার মধ্যে একমাত্র মুস্তাফিজই সফল ছিলেন।

নিজের প্রথম ওভারে এসে জিম্বাবুইয়ান ওপেনার রেগিস চাকাভাকে ৮ রানে নাজমুল শান্তর ক্যাচে পরিণত করে ফেরান মুস্তাফিজ। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ২৮ রান যোগ করেন ক্রেইগ আরভিন ও ওয়েসলি মাধবেরে।

পাওয়ারপ্লের পর প্রথম বলে আরভিনকে ২১ রানে বোল্ড করে ফেরান মোসাদ্দেক। উইকেট পাওয়া বলগুলো ছাড়া এদিন বোলিংয়ে যেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে থাকেন বাংলাদেশের বোলাররা। লাইন-লেন্থ সবকিছু গুলিয়ে জগাখিচুড়ি পাকাতে থাকেন তারা।

জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের রানের ফোয়ারা ছুটানোর জন্য তাদের চাহিদামতোই বোলিং করতে থাকেন তাসকিন, শরীফুল, নাসুম এমনকি মুস্তাফিজও। টাইগার বোলারদের এলোমেলো বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও বেশ দুর্বলতা দেখা যায়। এক চান্সে বল ধরতেই যেন তালগোল পাকিয়ে ফেলছিলেন ফিল্ডাররা।

টাইগার বোলার-ফিল্ডারদের এমন সহায়তা পেয়ে মারমুখী হয়ে খেলতে থাকেন জিম্বাবুইয়ানরা। চারে নেমে ১৯ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৩ রান করেন উইলিয়ামস। মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।

তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সিকান্দার রাজার সাথে ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন মাধবেরে। যেখানে রাজা ছিলেন বেশি আক্রমণাত্মক। ২৩ বলে ফিফটি তুলে শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

তিনে নামা মাধবেরে ৪৬ বলে খেলেন ৯ চারে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ইকোনমিকাল বোলার ছিলেন আফিফ হোসেন। তবে ১ ওভারে ৬ রান দেয়ার পর আর বোলিংই পাননি তিনি।

আরেজি ডানহাতি স্পিনার ৩ ওভারে ২১ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট পেলেও বোলিং কৌঠা পূরণের সুযোগ পাননি তিনি। তিন পেসার এদিন দেদারসে রান বিলিয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে সফল এছাড়া মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

তাসকিন ৪ ওভারে ৪২ এবং শরিফুল ৪ ওভারে ৪৫ রান দিলেও কোনও উইকেট পাননি তারা। উইকেটশূন্য থাকা নাসুমও ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৮ রান।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram

Leave a Comment

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

গণহত্যাকারীদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোন অধিকার নাই;ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ

২৪ এর অভ্যুত্থানে গণহত্যার রক্ত যাদের হাতে লেগে আছে, যারা দীর্ঘ স্বৈরশাসনে বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। এইদেশে কোন নির্বাচনে অংশ নেয়ার অধিকার তাদের নাই‌। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। অনতিবিলম্বে গণবিরোধী বক্তব্যের জন্য দেশবাসীর কাছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

নীতিবান ও আদর্শবান ব্যক্তিকে ক্ষমতায় না এনে বারবার আন্দোলন করে ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না;মুফতী ফয়জুল করিম

এম শাহরিয়ার তাজ,রিপোর্টার: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে

প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি না করা ফ্যাসিবাদের অনুসরণ- জাতীয় শিক্ষক ফোরাম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ের সম্পাদক ও জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর কেন্দ্রীয়

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি না করা ফ্যাসিবাদের অনুসরণ -জাতীয় শিক্ষক ফোরাম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ের সম্পাদক ও জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর কেন্দ্রীয়

  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৫:১১ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
  • বিকাল ১৫:৪০ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৭:১৯ অপরাহ্ণ
  • রাত ১৮:৩৮ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ