অনেক জল্পনা, নানামুখী আলোচনার পর অবশেষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে আনুষ্ঠানিক অবসর ঘোষণা দিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পর বাংলাদেশ সময় ভোররাতে নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে এই ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুকে তামিম লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আজকে থেকে আমাকে অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।’ তামিমের এই ঘোষণা অবশ্য অনেকটা অনুমিতই ছিল। টি-টোয়েন্টি থেকে ছয় মাসের বিরতি শেষ হওয়ার আগে যেকোনো দিন এমন কিছু আসতে পারত। সেটাই সত্যি হলো। ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে তাকে আর এই সংস্করণ খেলতে দেখা যায়নি, খেলেননি গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭৮ ম্যাচ খেলে (বাংলাদেশের হয়ে ৭৪, বিশ্ব একাদশের হয়ে ৪ ম্যাচ) ২৪.০৮ গড়ে ১ হাজার ৭৫৮ রান করেন তামিম। তবে তার স্ট্রাইক রেট ছিল কেবলই ১১৬.৯৬। এই স্ট্রাইক রেট নিয়েই উঠে প্রশ্ন। এসব নিয়ে সমালোচনার মধ্যে নিজে থেকেই গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ান এক বাঁহাতি ওপেনার।
তামিম সরে দাঁড়ালেও বিশ্বকাপের পরও তাকে ফেরানোর চেষ্টা চালান বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
তামিম আর ফিরতে চাননি। ২৭ জানুয়ারি বিপিএল চলাকালীন তিনি জানান, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে যাচ্ছেব ৬ মাসের বিরতিতে। সেই ৬ মাস শেষের দিকেও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে রহস্য করে যাচ্ছিলেন এই সংস্করণে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। বিসিবির পক্ষ থেকে তৈরি রাখা হয়েছিল ধোঁয়াশা।
অবশেষে অবসান হলো সকল রহস্যের। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে আর দেখা যাবে না তাকে।