শততম টি-টোয়েন্টি জয়ে অনবদ্য ভূমিকা ছিল দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈমের। কিন্তু দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হতাশ করলেন দুজনেই। ১৬৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৭ রানেই ফিরে গেছেন দু’জন। এর পর আরও ৪ উইকেট পতনে বিপদেই পড়ে গেছে সফরকারীরা। সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংগ্রহ এখন ১৩.১ ওভারে ৬ উইকেটে ৮৩ রান।
আগের ম্যাচে অসাধারণ ছন্দে থাকলেও এই ম্যাচে ইনিংস বড় করতে পারলেন না নাঈম। ব্লেসিং মুজারাবানির তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই তিনি বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ৫ রানে। একই ওভারের চতুর্থ বলে মুজারাবানির জোড়া আঘাতের শিকার হন সৌম্য সরকার। শট খেলতে গিয়ে কভারে ক্যাচ উঠিয়ে তিনি ফিরেছেন মাত্র ৮ রানে।
দ্রুত দুই উইটেট পড়ে যাওয়া রান তোলায় মনোযোগী হয়েছিলেন মেহেদী ও সাকিব। চেষ্টাও করেছিলেন দুজন। পাওয়ার প্লেতে পর্যাপ্ত রান তুলে দিলেও সাকিব সপ্তম ওভারে বিপদ ডেকে আনেন বেশি বাইরে এসে খেলতে গিয়ে। বামহাতি স্পিনার মাসাকাদজার বলে ক্যাচ তুলে দেন কভারে। সাকিব বিদায় নেন ১০ বলে ১২ রানে।
এর পর শট খেলার লোভ সামলাতে না পেরে বিপদটা আরও বাড়িয়ে দিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। মাসাকাদজার বলে ক্যাচ উঠিয়ে দিয়েছেন লং অনে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৪ রান। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটারের বিদায়ে থিতু হবেন কি, উল্টো দলকে শঙ্কায় ফেলে দেন মেহেদী। সেই মাসাকাদজার স্পিনে শট খেলার তাড়নায় মেহেদী (১৫) ক্যাচ উঠিয়ে দিয়েছেন লং অফে। টি-টোয়েন্টিতে যে সোহানকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারলেন না দলের বিপদের সময়। ডিপ পয়েন্টে তিনিও ক্যাচ তুলে ফিরেছেন মাত্র ৯ রানে।
ক্রিজে আছেন আফিফ (১৬) ও শামীম (৫)।
এর আগে জিম্বাবুয়ে টস জিতে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। যার পুরো কৃতিত্ব ওয়েসলি মেধেভেরের ৫৭ বলে করা ৭৩ রান!