ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মোঃ ইবরাহীম খলীল তার ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাসে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে হাতপাখার পথসভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই’র দেয়া এক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে লিখেন-
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কে সামনে রেখে শায়খে চরমোনাইেয়র দেওয়া বক্তব্যটি আমি খুব মনোযোগ সহকারেই শুনেছি।
মুফতি সাহেব হুজুরের কথা বলার ভাষা ও ভঙ্গিমাতে কিছুটা আপত্তি থাকলেও আমার দৃষ্টিতে তাঁর বলা প্রতিটা কথাই ছিলো শতভাগ সঠিক।
এই ভোটের বাজারে সামান্য কিছু মুদ্রার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যাওয়া নারায়ণগঞ্জের কতক চিহ্নিত মৌলবি গোষ্ঠী যাদের কে তিনি গুন্ডা মৌ-লোভী হিসেবে আখ্যায়িত করায় অনেকেই হয়তোবা মনে মনে চোট পেয়েছেন!
উনি কোন আলেমের নাম ধরে তার বিরুদ্ধে তো কিছু বলেন নি। বরং কিছু ক্ষমতা লোভী,সুবিধাভোগীদের কে উদ্দেশ্য করেই তিনি এই কথা গুলোকে বলেছেন।
কিন্তু আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি উনার এই বক্তব্যে টিকে কেন্দ্র করে দেশের আনাচকানাচে লুকিয়ে থাকা অনেক গোলাপি প্রেমীদের ইতিমধ্যেই জ্বলুনি শুরু হয়ে গেছে। তাই তাঁরাও এবার সুযোগ বুঝে মুফতি সাহেব হুজুর কে সরাসরি টার্গেট করেই বিতর্কিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
সমালোচকদের বুঝতে হবে নায়েবে আমীরের এই বক্তব্যের প্ররিপ্রেক্ষিতে গতকাল হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ একটি লিখিত বক্তব্য দানের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিতে তাদের অবস্থান কে তাঁরা সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন। আর এটা হওয়া দরকার ছিলো।
অনেকেই হয়তোবা নারায়ণগঞ্জের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা না থাকায় ভুল বুঝেছেন,কিন্তু কিছু মৌ-লোভী গোষ্ঠী নারায়নগঞ্জে তাদের নিজেদের কিছু ব্যাক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে তাঁরা হেফাজতের নাম কে ব্যবহার করে যাচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জেের প্রভাবশালী একজন এমপির হয়ে তাঁরা কখনো নৌকার বৈঠা চালায়,আবার কখনো আইভি ঠেকাও এর শ্লোগান দেয়।
তাদের উদ্দেশ্য কি আমরা জানি। এদের কে লক্ষ্য করেই কিন্তু মুফতি সাহেব হুজুরের এই বক্তব্যটি ছিলো। সুতরাং উনার এই বক্তব্য নিয়ে বাকিদের বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
পরিশেষে আমি আমার শায়েখের প্রতি পরিপুর্ণ সম্মান এবং শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই,আমি আপনার মধ্যে এই উম্মতের ঐক্যের প্রতি যেই দরদ এবং আকাঙ্ক্ষা কে লক্ষ্য করেছি আপনার বক্তব্যে কিন্তু সেই আবেদন টা সঠিক ভাবে ফুটে উঠেনা।
আবার অনেকেই আপনার বলা কথা গুলো কে সঠিক ভাবে ধারণ করতে পারেন না,তাঁরা আপনাকে বুঝেতেই ভুল করে বসে। আপনার কথা বলার স্টাইল,শরীরের অঙ্গভঙ্গিতেও এক ধরনের অসহনশীলতা কে তাঁরা দেখতে পায়।
তাই প্রতিপক্ষ শিবিরের লোকজন তাঁরা এই প্রজন্মের কাছে আপনাকে একজন রাজনৈতিক ভারসাম্যহীন লিডার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার অপপ্রয়াস চালায়।
আল্লাহ কে স্বাক্ষী রেখে আপনাকে ভালোবাসি এর জন্যেই কথা গুলো বলছি, আপনার কাছের অনেকেই সাহস করে কিংবা খোশামোদির কারণে কথা গুলো বলেনা আপনাকে।
আমরা বিপ্লব প্রত্যাশীরা চাই আপনার মতো এমন একজন সাহসী আর বিচক্ষণ নেতার মাধ্যমেই বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতির এক সুন্দর ভবিষ্যত তৈরি হোক, যার কাঠামো গুলো হবে নিষ্কলুষ,নিষ্কণ্টক আর ত্রুটিমুক্ত,এমনটা হলে সকল মতের বিপ্লব প্রত্যাশীরাই একদিন আপনার নেতৃত্বের পতাকা তলে এসে উপস্থিত হবে ইনশাল্লাহ।