বাংলাদেশে যেসব ইসলামী ব্যক্তিত্ব প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, সাম্য, ন্যায়বিচারের চিন্তাকে সামনে রেখে সমাজ বিনির্মাণ করতে চান তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য শায়খ আহমাদুল্লাহ। তথ্যনির্ভর আলোচনা ও গবেষণাধর্মী কাজের মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা করছেন তিনি।
শায়খ আহমাদুল্লাহ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন দেশজুড়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ফাউন্ডেশনটির সেবামূলক সার্বিক কাজ সর্বত্র বেশ সুনাম ও প্রশংসা কুড়িয়েছে।
কিছুদিন আগে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন মসজিদ কমপ্লেক্সে (আফতাব নগর,ঢাকা) জন্য সাহায্য চেয়ে পোস্ট করা হয়েছিল। আর সেই প্রজেক্টে অংশগ্রহণের জন্য নিজেদের সাজ-সজ্জার গহনা পাঠিয়ে নজির তৈরি করেছেন কয়েকজন নারী।
এই প্রসঙ্গে নিজের ফেসবুক পেইজে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন- গহনা মেয়েদের কতো প্রিয় জিনিস সেটা বলাই বাহুল্য। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন মসজিদ কমপ্লেক্সের জন্য সেই প্রিয় বস্তুটা দান করে ত্যাগের পরম উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন কয়েকজন বোন। একজন পাঠিয়েছেন হাতের প্রিয় আংটি, আরেকজন পাঠিয়েছেন ব্রেসলেট।
আসলে কেউ দান দান করার জন্য আর্থিক সঙ্গতি হয়ত কিছুটা লাগে। তবে এরচেয়ে বেশি লাগে মনের ঐশ্বর্য এবং হার্দিক ভালোবাসা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দানের গুরুত্ব বর্ণনা করার পর কোনো কোনো মহিলা সাহাবী নিজেদের শরীরের গহনা খুলে দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫২৪৯)
এই ধরনের মানুষগুলোর ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়ার সামর্থ আমাদের নেই। আল্লাহ তাঁদের যথার্থ প্রতিদান দেবেন ইন-শা-আল্লাহ, দুনিয়ায় এবং আখিরাতে।
উল্লেখ্য, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন মসজিদ কমপ্লেক্স ও ইসলামিক সেন্টারের জমি ক্রয় প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে মন্তব্যের ঘরে দেওয়া বিবরণ অনুসরণ করুন।
এন.এইচ/