নারিকেল একটি বারোমাসি ফল এটা পিঠা থেকে শুরু করে তরকারি সবকিছুর সাথেই খাওয়া যায়। বছরের যে কোন সময় এটি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। বর্তমানে নারিকেলের দাম প্রতি জোড়া ৬০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বাজারে। সিজন হওয়াতে এদামে কিনা বেচা হচ্ছে। আনসিজনে এর জোড়া প্রতি মূল্য ৯০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত হয়। তবে এ বছর আনসিজনে এর বাজার মূল্য আরো বৃদ্ধি হতে পারে। নারিকেল বাংলাদেশের একটি অর্থকারী ফসল এফল থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর অনেক টাকা আয় করে। দেশের সব জেলাতেই কম বেশি নারিকেল উৎপাদন হয়।
তবে বৃহত্তর নোয়াখালীতে তুলনামূলক এর ফলন বেশি হওয়ায় নোয়াখালী অঞ্চলকে নারিকেল সুপারির জন্য বিখ্যাত হিসেবে ধরা হয়। তবে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে বৃহত্তর নোয়াখালীতে গাছে গাছে নারিকেল কম ফলন হচ্ছে। এবিষয়ে একজন কৃষকে জিগ্যেস করলে তিনি বলেন গত চার/পাঁচ বছর ক্রমশই গাছে নারিকেল কম ধরছে। এর ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আরো বলছেন প্রকৃতিক বৈরী আবহাওয়ার কারণেই এমনটি হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরাম বলছেন ভিন্ন কথা, মুফতী আব্দুল্লাহ আল মারুফ জানান অনাবৃষ্টি, খরার কারণেই নারিকেলের ফলন কম হচ্ছে, আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো কেয়ামতের পূর্বে আস্তে আস্তে আকাশ থেকে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাবে, গাছে ফলমূল কম হবে বলে হাদিসে পাওয়া যায়। এটি তারই অংশ। তবে দেশে বিদেশি জাতের নারিকেলের ফলন ভালো হচ্ছে বলে জানা জায়। এখন কৃষকরা দেশি প্রজাতির থেকেও বিদেশি জাতের নারিকেলের উপর নিরবর হয়ে পড়ছে।