বুধবার | ১৯ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ রমজান, ১৪৪৬ হিজরি | ৫ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | রাত ৯:২১

বুধবার | ১৯ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ রমজান, ১৪৪৬ হিজরি | ৫ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | রাত ৯:২১

বাংলাদেশে জন্মহার কমা ভালো নাকি খারাপ?

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram
  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:১১ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:২৬ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:১১ অপরাহ্ণ
  • রাত ১৯:২৪ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে ২০২২ সালের জনশুমারির প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে দেশে জন্মহার কমেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৩০ বছর যাবতই বাংলাদেশে জন্মহার ধারাবাহিকভাবে কমছে।

১৯৯১ সালে বাংলাদেশের জন্মহার ছিল ২ দশমিক ১৭ শতাংশ, যেটি ২০০১ সালে নেমে আসে ১ দশমিক ৫৮ শতাংশে।

এরপর ২০১১ সালে আদমশুমারির প্রতিবেদনে দেখা যায় জন্ম হার আরো কমে ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ হয়েছে। সর্বশেষ ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ।

জন্মহার কমলেও বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার বাংলাদেশের জন্য ভালো খবর নাকি খারাপ খবর?

এ বিষয়টি নির্ভর করে প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার উপর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, বাংলাদেশের জন্য এটি এখন ভালো খবর হিসেবেই দেখা যেতে পারে।

‘আমরা এখন যে অবস্থায় আছি সেটি আদর্শ অবস্থা। এখানে দেখা যাচ্ছে, জন্মহার এবং মৃত্যুহার দুটোই কমে আসে,’ বলেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটা দেশ যখন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে অগ্রসর হয় এবং নারীর শিক্ষা, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান বাড়ে তখন এ ধরনের পরিস্থিতির তৈরি হয়। এর সাথে নগরায়নের একটি বড় ভূমিকা আছে।

তবে এর কিছু ভবিষ্যৎ ঝুঁকিও রয়েছে।

আপাত স্বস্তিদায়ক
বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫ থেকে ৬৪ বছর পর্যন্ত জনগোষ্ঠী ৬৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। এই জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম হিসেবে বর্ণনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জনগোষ্ঠী বেশি হবার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল থাকবে বেশি।

অর্থাৎ তাদের ব্যবহার করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা সম্ভব।

বাংলাদেশের জন্য বিষয়টি ইতিবাচক এই অর্থে যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে পারবে।

যদি জন্মহার বাড়তেই থাকতো তাহলে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগানো সম্ভব হতো না। ফলে বেকারত্ব ভয়াবহ আকার ধারণ করতো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে বেকারত্ব রয়েছে সেটি কমে আসবে যদি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে যাওয়া অব্যাহত থাকে।

কিন্তু আগামী ১৭ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে সে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করবে। কারণ তখন ৬৫ বছরের বেশি জনগোষ্ঠী আরো বেড়ে যাবে।

অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, ২০৩৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য অনুকূল পরিবেশ থাকবে। এরপর প্রবীণ জনগোষ্ঠী বাড়তে থাকবে।

‘আগামী ১৭ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত কোনো চিন্তা নেই। কিন্তু এর পরে চিন্তার বিষয় হবে। কারণ, তখন প্রবীণ জনগোষ্ঠী অনেক বেড়ে যাবে।’

তিনি বলেন, এই জনশুমারিতে দেখা যাচ্ছে শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়সী জনসংখ্যা কমছে এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে।

আসছে বার্ধক্যের ধাক্কা
বাংলাদেশে জন্মহার যেমন কমছে তেমনি মৃত্যুহারও কমেছে। জন্ম ও মৃত্যুহার কমে গেলে তখন বয়স কাঠামোতে পরিবর্তন আসতে শুরু করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক এ এস এম আতিকুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ২০২২ সালের জনশুমারিতে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই রয়েছে।

২০২২ সালের জনশুমারিতে দেখা যাচ্ছে, ৬৫ বছর থেকে শুরু করে তার ঊর্ধ্বে জনসংখ্যা ৫.৮৮ শতাংশ।

এটি যদি সাত শতাংশে পৌঁছে যায় তখন সেটিকে ‘বয়স্কদের সমাজ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

অধ্যাপক আতিকুর রহমান বলেন, ২০৬০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবীণ জনসংখ্যা হবে পাঁচ কোটির মতো।

‘প্রবীণদের সংখ্যা শিশুদের চেয়ে বেড়ে যাবে,’ বলেন তিনি।

এ পরিস্থিতি হলে দেশে কর্মক্ষম লোকের ঘাটতি দেখা দেবে এবং দেশ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়বে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, প্রবীণদের বোঝা হিসেবে বিবেচনা না করে যদি তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগানো যায় এবং তাদের কর্মক্ষম রাখা যায় তাহলে সেটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাজে লাগবে।

এজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

জনসংখ্যা কখন কমবে?
জন্মহার যখন কমতে থাকে তখন এক পর্যায়ে গিয়ে সেটি জিরো গ্রোথ বা শূন্য গ্রোথ এ পৌঁছবে। কিন্তু বাংলাদেশের আপাতত সেটি হচ্ছে না।

জাতিসঙ্ঘের জনসংখ্যা বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জন্মহার কমলেও ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি ৪০ লাখ।

২০৫৭ সালে জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি ৭০ লাখ।

অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, ২০৫৭ থেকে ২০৬৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল থাকবে। কারণ তখন জন্ম ও মৃত্যুহার সমান হবে। এরপরে মোট জনসংখ্যা আস্তে আস্তে কমতে থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমতে শুরু করলে সেটি বাড়ানো খুব কঠিন কাজ।

‘কোনো কোনো দেশ জনসংখ্যা বাড়াতে চাইলেও বাড়াতে পারে না। আমি চীনের বেইজিংয়ে ছিলাম চার বছর। ওখানে দেখা যাচ্ছে ওরা জন্মহার বাড়াতে চাইলেও আর বাড়াতে পারছে না,’ বলেন তিনি।

সূত্র : বিবিসি

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram

Leave a Comment

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

১২ তম রোজাতেও অসহায় পথচারীদের মাঝে ইফতার নিয়ে হাজির আব্দুস সালাম

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ আব্দুস সালাম পবিত্র মাহে রমজান মাসে বিএনপির  ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক ও সদস্য সচিব মোস্তফা জামানের নির্দেশনায় মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক আফাজ উদ্দিন আফাজের তত্ত্বাবধানে  প্রতিদিন ৩ থেকে ৫

  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:১১ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:২৬ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:১১ অপরাহ্ণ
  • রাত ১৯:২৪ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ