পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে বাইসাইকেলে তাজিকিস্তান থেকে সৌদি আরবের মক্কায় রওনা হয়েছেন ৩ বন্ধু। এক মাস আগে তারা তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে থেকে যাত্রা শুরু করেন মক্কার উদ্দেশে। বর্তমানে তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই সিটিতে অবস্থান করছেন। এ পথটুকু আসতে তাদের সময় লেগেছে ৩০ দিন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গফুরভ দিলোভার, নাজারভ সাইদালি এবং তালাবভ শোকির নামে ৩ বন্ধু সৌদিতে হজ করার জন্য বাইসাইকেলে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিচ্ছে।
এদের মধ্যে ৩৭ বছর বয়সী দিলোভার একজন উদ্যোক্তা এবং দুই সন্তানের জনক। তিনি বলেন, আমরা সবাই বন্ধু। আমরা আমাদের সাইকেলে হজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বছরের শুরু থেকেই এ যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা এক মাসব্যাপী এ যাত্রায় আছি। আমরা গরম আবহাওয়া, বালি এবং ধুলো ঝড় এবং বাতাসের অবস্থা থেকে শুরু করে ফ্ল্যাট টায়ার, ভাষার প্রতিবন্ধকতা, রাস্তায় ঘুমানো এবং অন্যান্য জিনিসগুলির জন্য বেশ কয়েকটি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এ সমস্ত বাধা অতিক্রম করেছি। এখন আমরা আমাদের যাত্রা চালিয়ে যাওয়ার জন্য দুবাইতে সৌদি আরবের কনস্যুলেট জেনারেলের কাছ থেকে ভিসা পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, তাজিকিস্তানের সরকার ৪০ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের হজে যাওয়া সীমিত করে দিয়েছে। মূলত বয়স্ক লোকদের সুযোগ করে দিতে তাজিকিস্তানের এ উদ্যোগ। আর এ তিন বন্ধুর বয়স ৪০ এর নিচে। তারা জানায়, রমজানের পরপরই রাজধানী দুশানবে থেকে রওনা করে। তবে এখনও সৌদির ভিসা মেলেনি তাদের।
এদিকে করোনা মহামারির পর দেশের বাইরে থেকে হজযাত্রীদের প্রথম দলকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব। শনিবার (৪ জুন) ইন্দোনেশীয় হজযাত্রীদের দলটি মদিনা শহরে অবতরণ করে। আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় হজের জন্য প্রস্তুতি নিতে তারা পবিত্র মক্কা নগরীতে ভ্রমণ করবেন।
এর আগে মহামারি মোকাবিলায় আধুনিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সৌদি। তবে সীমিতসংখ্যক স্থানীয় নাগরিক ও অধিবাসীদের এই ইবাদতের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
২০১৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় জমায়েতে ২৫ লাখ মুসলমান অংশ নিয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালে মহামারি সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তখন কেবল এক হাজার মুসল্লিকে হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পরের বছর করোনার পরিপূর্ণ টিকা দেওয়া ৬০ হাজার মুসল্লি ইবাদতটি পালন করেন।