টানা তিন জয়ের পর চতুর্থ ম্যাচে এসে হার মানল বাংলাদেশ। তবে ১০৪ রানের পুঁজি নিয়েও দারুণ লড়াই করল টাইগাররা।
শনিবার পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৩ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১০৫ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ৭ উইকেট হারানোর পাশাপাশি ১৯ ওভার খেলতে হয়েছে অতিথি দলকে।
বাংলাদেশ অবশ্য প্রথম তিন ম্যাচ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে। এই জয়ের সুবাদে অস্ট্রেলিয়া ব্যবধান ৩-১ করল। সোমবার পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এদিন টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটাররা কেউই নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ভালো কোনো জুটিও হয়নি। তাই সংগ্রহটাও বড় হয়নি।
পরে বোলিংয়ে উইকেটশূন্য সাকিব আল হাসান ৪ ওভারে ৫০ রান খরচ করেন। তার এক ওভারে ৫ ছক্কা হাঁকান ড্যান ক্রিশ্চিয়ান। মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদি হাসানোর দারুণ বোলিংয়েও পরও তাই হার মানতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
মোস্তাফিজ ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। আগের দিন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়েছিলেন তিনি। মেহেদি ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
অজিদের পক্ষে ক্রিশ্চিয়ান সর্বোচ্চ ৩৯ ও অ্যাস্টন অ্যাগার ২৭ রান করেছেন।
এর আগে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন মোহাম্মদ নাঈম। ৩৬ বলে ২ চারে এই রান তার। শেষ দিকে শেখ মেহেদি হাসান খেলেছেন ১৬ বলে ২৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। ১টি করে চার ও ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। এ ছাড়া আফিফ হোসেন ১৭ বলে ২০ ও সাকিব আল হাসান ২৬ বলে ১৫ রান করেন।
অজিদের পক্ষে সর্বাধিক ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল সুয়েচসন ও অ্যান্ড্রু টাই। ২ উইকেট নিয়েছেন জস হ্যাজলউড। দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মিচেল সুয়েচসন।
জয়ের পথে অস্ট্রেলিয়া
জয়ের পথে এগোচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ ৫ ওভারে ২০ রান চাই দলটির।
মার্শকে ফিরিয়ে আশা বাড়ালেন মেহেদি
আগের তিন ম্যাচে ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে টেনেছেন মিচেল মার্শ। তবে এবার তাকে খুব বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে দিলেন না মেহেদি হাসান।
১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মার্শকে বোল্ড করেছেন মেহেদি। ৬৫ রানে ৬ উইকেট হারাল অজিরা। মার্শ ১৫ বলে ১ চারে ১১ রান করেছেন।
এখন ব্যাট করছেন অ্যাস্টন টার্নার ও অ্যাস্টন অ্যাগার।
বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরালেন মোস্তাফিজ
আবারো সাফল্য মোস্তাফিজের। দশম ওভারে আক্রমণে ফিরে তুলে নিলেন অ্যালেক্স ক্যারিকে। ৬৩ রানে ৫ উইকেট পড়ল অজিদের। সুবাদে ম্যাচে লড়াইয়ে ফিরল বাংলাদেশ। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরা ক্যারি ৬ বলে ১ রান করেছেন।
সাকিবে রান আউট হেনরিকেস
দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হলেন ময়জেস হেনরিকেস। ৬০ রানে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ উইকেট পড়ল।
সাকিব আল হাসানের করা ইনিংসের অষ্টম ওভারের শেষ বল। স্ট্রেট ড্রাইভ করেছিলেন মিচেল মার্শ। সেটি উইকেটে গিয়ে আঘাত হানে। এর আগে সাকিব বলে হাতের স্পর্শ বুলিয়ে দেন। নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা হেনরিকেসকে তাই ফিরে যেতে হয়। ৯ বলে ৪ রান করেছেন তিনি।
ক্রিশ্চিয়ানকে ফেরালেন মোস্তাফিজ
বল হাতে আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ফেরালেন ড্যান ক্রিশ্চিয়ানকে। সাকিব আল হাসানকে যিনি এক ওভারে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলটি পয়েন্ট দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ান। কিন্তু ধরা পড়েন শামীম হোসেনের হাতে।
৫.২ ওভারে ৪৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া। ১৫ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৯ রান করেছেন ক্রিশ্চিয়ান।
নাসুমের শিকার ম্যাকডারমট
সাকিবের এক ওভারে ক্রিস্টিয়ানের ৫ ছক্কার ঝড়ের পর স্বস্তি ফেরালেন নাসুম আহমেদ। অন্য প্রান্তে দারুণ ডেলিভারিতে বেন ম্যাকডারমটকে ফেরালেন এই স্পিনার। ১২ বলে ৫ রান করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি। তাতে ৪.৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২ উইকেটে ৪৭।
সাকিবকে ওভারে ৫ ছক্কা হাঁকালেন ক্রিশ্চিয়ান
প্রথম ওভারে উইকেট হারালেও সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠছে অস্ট্রেলিয়া। সাকিব আল হাসানের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পাঁচটি ছক্কা হাঁকালেন ড্যান ক্রিশ্চিয়ান।
তাতে ৪ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৪৫/১। ১০৫ রানের লক্ষ্যে খেলছে সফরকারীরা।
প্রথম ওভারেই ওয়েডকে ফেরালেন মেহেদি
আবারো প্রথম ওভারেই উইকেট মেহেদি হাসানের। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে ফেরালেন সরাসরি বোল্ড করে। ইনিংসের চতুর্থ বলেই ৩ রানে প্রথম উইকেট পড়ল অজিদের।
ওয়েড ৩ বল খেলে ২ রান করেছেন।
অস্ট্রেলিয়াকে ১০৫ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বলার পুঁজি গড়তে ব্যর্থ স্বাগতিকেরা।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১০৪ রান করতে পেরেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। অর্থাৎ জয়ের জন্য ১০৫ রান করতে হবে অজিদের।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন মোহাম্মদ নাঈম। ৩৬ বলে ২ চারে এই রান তার। শেষ দিকে শেখ মেহেদি হাসান খেলেছেন ১৬ বলে ২৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। ১টি করে চার ও ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। এছাড়া আফিফ হোসেন ১৭ বলে ২০ ও সাকিব আল হাসান ২৬ বলে ১৫ রান করেন।
অজিদের পক্ষে সর্বাধিক ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল সুয়েচসন ও অ্যান্ড্রু টাই। ২ উইকেট নিয়েছেন জস হ্যাজলউড।
সুয়েপসনের তৃতীয় শিকার নাঈম
অন্যদের আসা যাওয়ার মাঝে উইকেটে অবিচল ছিলেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। শেষ পর্যন্ত মিচেল সুয়েপসনে পরাস্ত হলেন তিনিও।
১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে নাঈমকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেছেন সুয়েপসন। তাতে ৬৮ রানে ৫ উইকেট হারাল টাইগাররা।
মাহমুদউল্লাহর পর নুরুলও ফিরলেন শূন্য রানে
পর পর দুই বলে উইকেট পেলেন মিচেল সুয়েপসন। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহকে তুলে নিয়েছিলেন। ষষ্ঠ বলে ফেরালেন নুরুল হাসান সোহানকে। তাতে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তার সামনে।
নুরুল গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেছেন। পর পর দুই বলে উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। ১১ ওভার শেষে ৫১ রানে ৪ উইকেট নেই টাইগারদের।
মাহমুদউল্লাহ ও নুরুল দুজনকেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেছেন লেগ স্পিনার সুয়েপসন। সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলছেন তিনি।
ওপেনার নাঈমের সঙ্গে এখন ব্যাট করছেন আফিফ হোসেন।
শূন্য রানে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ
আগের দিন ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি উপহার দিয়েছিলেন। ম্যাচসেরার পুরস্কারও পান ওই ইনিংসে। সেই মাহমুদউল্লাহ এবার ফিরলেন শূন্য রানেই। তাকে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলেছেন লেগ স্পিনার মিচেল সুয়েপসন।
১১তম ওভারের পঞ্চম বলে তৃতীয় উইকেটের পতন বাংলাদেশের। স্কোর- ১০.৫ ওভারে ৫১/৩।
হ্যাজলউডের দ্বিতীয় শিকার সাকিব
সৌম্য সরকারের পর সাকিব আল হাসানকেও ফেরালেন জস হ্যাজলউড। ৯.৫ ওভারে ৪৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
সৌম্যর বিদায়ের পর নাঈমকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন সাকিব। কিন্তু ২৪ রানের ভাঙল সেই জুটি। হ্যাজলউডকে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েছেন সাকিব। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে ম্যাথু ওয়েডের গ্লাভসে চলে যায়।
২৬ বলে ১ চারে ১৫ রান করেছেন সাকিব।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৩০
পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার (৮) ফিরে গেছেন চতুর্থ ওভারেই। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে ব্যাট করছেন সাকিব আল হাসান।
সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না সৌম্য
টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থতার পরও চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল সৌম্য সরকারকে। সেটাও ওপেনিংয়ে। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ এই বাঁহাতি ওপেনার।
ফিরলেন ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই। জশ হ্যাজলউডকে পুল করতে গিয়ে মিড অফে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ধরা পড়লেন।
১০ বলে ১ ছক্কায় ৮ রানেই ফিরলেন সৌম্য। প্রথম তিন ম্যাচে সৌম্যর স্কোর- ২, ০, ২।
ওপেনিংয়ে সৌম্যর ওপরই আস্থা রাখল বাংলাদেশ
প্রথম তিন ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন। এরপরও সৌম্য সরকার আরেকটি সুযোগ পেলেন। একাদশে তো রয়েছেনই, ওপেনিংয়েও তার ওপর আস্থা রাখল বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নাঈমকে নিয়ে ইনিংস ওপেন করছেন সৌম্য।
প্রথম তিন ম্যাচে সৌম্যর স্কোর- ২, ০, ২। আত্মবিশ্বাস ফেরাতে তাকে বিশ্রাম বা নিচের দিকেও খেলানো যেত। যদিও তামিম ইকবাল, লিটন দাস না থাকায় স্কোয়াডে স্পেশালিস্ট ওপেনার নেই। তবে অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান ঘরোয়া ক্রিকেটে ওপেনিংয়ে বেশ সফল।
৪-০ এর লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় টস অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ এ ম্যাচেও অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে। অস্ট্রেলিয়া দুটি পরিবর্তন এনেছে। আগের ম্যাচে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করা নাথান এলিচ ও অ্যাডাম জাম্পাকে বিশ্রাম দিয়েছে দলটি। তাদের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন অ্যান্ড্রু টাই ও মিচেল সুয়েপসন।
প্রথম তিন ম্যাচ জিতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে এরই মধ্যে ৩-০ তে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ ম্যাচে ব্যবধান ৪-০ করার লক্ষ্য তাদের। অস্ট্রেলিয়ার চাওয়া শেষ দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ সফর শেষ করা।
বাংলাদেশ একাদশ
সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, মেহেদি হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ
ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), বেন ম্যাকডারমট, মিচেল মার্শ, ময়জেস হেনরিকেস, অ্যালেক্স ক্যারি, অ্যাশটন টার্নার, অ্যাশটন অ্যাগার, ড্যান ক্রিশ্চিয়ান, অ্যান্ড্রু টাই, মিচেল সুয়েপসন ও জশ হ্যাজলউড।