বৈশ্বয়িক মহামারি করোনায় যখন সাধারণ মানুষের জীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত সেই মুহুর্তে ব্যাটারী চালিত রিকশা ও ভ্যান বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিক শ্রেণির মানুষের পেটে লাথি মারা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান।
আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বিদ্যুতের উপর চাপ কমাতে সরকার এধরণের সিদ্ধান্ত না নিয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হলে অনেকাংশে বিদ্যুতের সাশ্রয় হতো। অপরদিকে বিত্তশালীদের এসির ব্যবহার কমিয়ে দিয়েও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যেতো। কিন্তু সেই ব্যবস্থা না করে সাধারণ মানুষের ক্ষতিকর সিদ্ধান্তটি চরম অমানবিক।
এই দুই শ্রমিকনেতা অারো বলেন, শ্রমিক শ্রেণির মানুষ রিকশা ও ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়, তারা টাকা বিদেশে পাচার করে না। তাছাড়া বৈষয়িক কারণে মানুষের শারীরিক ক্ষমতা কমে গেছে বিধায় পায়ে চালিত রিকশা চালানো অনেকটাই কঠিন। এমতাবস্থায় মানবিক কারণে ব্যাটারী চালিত রিকশা ও ভ্যান নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল করার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এক্সিডেন্টের যে অজুহাত তুলে ধরা হয়েছে এটা অনেকটাই অমূলক কারণ এক্সিডেন্ট শুধু অটোরিকশা ও ভ্যানেই হয় এমনটি নয় । এক্সিডেন্ট বাস গাড়ি ট্রাক এমনকি প্লেনেও হয়ে থাকে।
সুতরাং এই ঠুনকো অজুহাতে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা বন্ধ করে দেয়ার সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান।