করোনা মহামারির মধ্যে গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় দুই দশক ধরে পশ্চিমা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা তালেবান। সে সময় দেশটির প্রায় ৪ কোটি জনগণেরর মধ্যে দেড় কোটি ভুগছিল খাদ্য সংকটে। সংখ্যাটি এখন বেড়ে দাঁয়িয়েছে ২ কোটি ২০ লাখের বেশি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, আফগানিস্তানের অর্ধেকের বেশি মানুষ বর্তমানে সবচেয়ে মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কায় মানবিক সহায়তা দেয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে জাতিসংঘ। অন্যান্য দেশও আফগানদের মানবিক সাহায্যের কথা ভাবছে, সে তালিকায় নাম রয়েছে বাংলাদেশেরও।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বা বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার আওতায় কাবুলে জরুরি ওষুধ ও খাদ্য পাঠানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে ঢাকা। সেইসঙ্গে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে সহায়তা পাঠাতে সেপ্টেম্বরে অনুরোধ করেছে সরকার। তবে এসব বিষয় এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে সামস বলেন, গত মাসে জাতিসংঘের এক বৈঠকে আফগানিস্তানে ওষুধ ও খাদ্য সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ। মানবিক সহায়তা কাবুলে পৌঁছাতে রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা এখনো কিছু জানায়নি।
আফগান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তালেবানরা তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে কতটা আন্তরিকতা দেখায়, সেটি দেখা প্রয়োজন। আফগানরা তালেবান সরকারকে কীভাবে নিচ্ছে, সেটিও বিবেচ্য বিষয়। এ জন্যই অনেক দেশ তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করলেও এখনো স্বীকৃতি দেয়নি।
সম্প্রতি তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করে আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো জোট। গত ১৫ আগস্ট দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকার গঠন করেছে সংগঠনটি। নতুন আফগান সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।