‘বাঙালিরা তাকে হত্যা করবে- এটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনোই বিশ্বাসই করতে পারেন নি। তিনি ভেবেছিলেন পাকিস্তানীরা তাকে মারেনি, বাঙালিরা তাকে মারবে না- এই বিশ্বাসটা তাঁর মধ্যে ছিল।’
রবিবার (১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচির উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে এমন কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পেছনে কারা জড়িত ছিল, সেটা আজো আবিস্কার হয়নি। তবে একদিন সেটা নিশ্চয়ই আবিস্কার হবে। আমার এই মুহুর্তে একটাই কাজ এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কে জড়িত, সেদিকে না গিয়ে আমার প্রথম কাজ হলো এ দেশের ক্ষুধার্থ, নীরিহ ও অসহায় মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা। আর সে লক্ষেই আমি কাজ করে যাচ্ছি।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলার রায়ের দিনের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা জাতির পিতার বিচার কাজ করতে পেরেছি। মামলার দীর্ঘ শুনানীর পর যেদিন এই মামলার রায় হবে, ঠিক সেদিনই খালেদা জিয়া হরতাল ডেকেছিলেন। যাতে সেদিন কোর্ট না খুলে। বিচারক কোর্টে যেতে না পারে এবং এই মামলার রায় না দিতে পারে। সেজন্যই সেদিন বিএনপি হরতাল দিয়েছিল। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে সেদিন রায় হয়েছিল।’
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। আলোচনা সভার সঞ্চালণা করেন কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু। এ সময় গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচির উদ্ধোধন করা হয়।