আরব ও ইসলামিক বিশ্বের অন্যতম প্রধান ঐতিহ্য ‘আরবি ক্যালিগ্রাফি’ ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। গত মঙ্গলবার এক টুইটে এই তথ্য নিশ্চিত করে সংস্থাটি। সৌদি আরবের নেতৃত্বে ১৬ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইউনেস্কোর কাছে এই মনোনয়ন পেশ করেছিল। খবর আরব নিউজ।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, আরবি ক্যালিগ্রাফি হল কমনীয়তা ও সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য আরবি লিপির হাতে লেখা এক শৈল্পিক অনুশীলন। আরবি লিপির একক শব্দের মধ্যেও একটা কমনীয়তা থাকে। কারণ অক্ষরগুলো বিভিন্ন মোটিফ তৈরি করার জন্য নানা উপায়ে প্রসারিত ও রূপান্তরিত করা যায়।
সৌদি সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রিন্স বদর বিন আবদুল্লাহ বিন ফারহান আল-সৌদের উদ্ধৃতি দিয়ে সৌদি প্রেস এজেন্সির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিকাশে অবদান রাখবে।
সৌদি হেরিটেজ প্রিজারভেশন সোসাইটির সদস্য আবদুল মাজিদ মাহবুব বলেন, ক্যালিগ্রাফি সবসময়ই আরব-মুসলিম বিশ্বের প্রতীক হিসেবে কাজ করে আসছে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে অনেকেই আর হাতে লিখতে পারে না। এতে আরব ক্যালিগ্রাফিক শিল্পীদের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। তাই আরবি ক্যালিগ্রাফি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এটি সংরক্ষণ করা অপরিহার্য। এক্ষেত্রে ইউনেস্কোর অন্তর্ভুক্তি ঐতিহ্য রক্ষায় অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সৌদি আরবের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, আরবি ক্যালিগ্রাফি সভ্যতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির গল্পের প্রতিনিধিত্ব করে এবং এটি আরবি ভাষার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।